বগুড়া ও যশোরের উপনির্বাচন সুন্দর হয়েছে: ইসি সচিব
১৪ জুলাই ২০২০ ২১:১৫
ঢাকা: বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। তিনি বলেন, দুই অসনের উপনির্বাচনে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, যশোরে ভোটার উপস্থিতি বেশি হলেও বগুড়ায় কিছুটা কম ছিল। তবে ভোট পড়ার হার নিয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এখনো ভোট গণনা চলছে। নির্বাচনে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনে কোনো অসুবিধা হয়নি, কোনো সহিংস ঘটনাও ঘটেনি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বগুড়া–১ (সোনাতলা–সারিয়াকান্দি) আসন
গত ১৮ জানুয়ারি আবদুল মান্নান মারা গেলে বগুড়া-১ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৯৩ জন ভোটার। উপ-নির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বিএনপির একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি (বাঘ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক)।
যশোর–৬ (কেশবপুর) আসন
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক গত ২১ জানুয়ারি মারা যাওয়ায় যশোর-৬ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন ভোটার। এই আসনের প্রার্থীরা হলেন হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদারকে (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙ্গল)।
দুই সংসদীয় আসনে ২৯ মার্চ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। পরে নির্বাচনের সপ্তাহখানেক আগে তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা নাম কমলেও নির্বাচন কমিশন বলছে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকে তারা নির্বাচন করছে। আগামী ১৫ জুলাই বগুড়া-১ আসনের এবং ১৮ জুলাই যশোর-৬ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধান নির্ধারিত ১৮০ দিন শেষ হতে যাচ্ছে বলেই তারা করোনার মধ্যে নির্বাচন করতে বাধ্য হচ্ছে।
সংবিধানের যে অনুচ্ছেদ দেখিয়ে ইসি এই নির্বাচন আয়োজন করছে, সেই ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় বলা হয়েছে— সংসদ ভেঙে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে পদটি শূন্য হওয়ার নব্বই (৯০) দিনের মধ্যে ওই শূন্যপদ পূর্ণ করার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে শর্ত থাকে— যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহলে ওই মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধানের এই ধারা অনুযায়ী, আসন শূন্য হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণসহ আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে কিংবা রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা শিথিলের উদ্যোগ নিতে পারত। অথবা কিছুদিন আগ পর্যন্তও সংসদ অধিবেশন চলছিল। সরকারকে চাপ দিয়ে মহামারি পরিস্থিতিতে নির্বাচন পেছানো বিষয়ক বিলও পাস করিয়ে নিতে পারত।
ইসি সচিব উপনির্বাচন নির্বাচন কমিশন সচিব বগুড়া-১ যশোর-৬ সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর