Monday 28 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বাংলাদেশের ৪ কোটি মানুষ পাটখাতের সাথে সম্পৃক্ত’


৭ মার্চ ২০১৮ ১৮:১২

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘বাংলাদেশের ৪ কোটি মানুষ সরাসরিভাবে পাটখাতের সাথে সম্পৃক্ত। সরকার জুট প্যাকেজিং অ্যাক্টের মাধ্যমে প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার কারণে দেশের পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং পাট চাষীরা ভালো মূল্যে পাট বিক্রি করতে পারছে।’

ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে বুধবার ‘পাট শিল্পের উন্নয়নে পাটের বহুমুখীকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এ কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে দেশের পাটের উৎপাদন ছিল ৬৫ লাখ বেল, ২০১৫ সালে ৭০ লাখ বেল, ২০১৬ সালে ৮৫ লাখ বেল এবং ২০১৭ সালে ছিল ৯২ লাখ বেল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের উদ্যোক্তাবৃন্দ ২৪০ ধরনের পাটপণ্য উৎপদান করছে। পরিসংখ্যানে প্রতীয়মান হয়, দেশের উদ্যোক্তাবৃন্দ পাটপণ্যের বহুমুখীকরণে অত্যন্ত মনোযোগী।’

মির্জা আজম বলেন, ‘পাটখাতের দক্ষ জনবলের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উপলব্ধি করে সরকার ইতোমধ্যে ৬টি টেক্সটাইল কলেজ ও ১২টি টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট স্থাপন করেছে।’

ড. হোসেন জিল্লুর  রহমান বলেন, ‘গত কয়েক দশক ধরে তৈরি পোশাকখাত এবং প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালক হিসেবে কাজ করেছে। এখন সময় এসেছে নতুন চালক খুঁজে বের করার এবং এক্ষেত্রে পাটের সম্ভাবনা খুবই বেশি।’

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ‘২০১৬-১৭ অর্থবছরে পাট ও পাটপণ্য রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশ ৯৬২.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। তবে পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ, বাণিজ্যিক সৃজনশীল-জ্ঞান স্বল্পতার জন্য পাটের আন্তজাতিক ও স্থানীয় বাজারের ব্যাপক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘পাট কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে বিপর্যয় রোধে সর্বোৎকৃষ্ট বিকল্প। তাই বাজারের চাহিদা ও ক্রেতার পছন্দের ভিত্তিতেই পাটপণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।’

পাটের বহুমুখীকরণ বিষয়ক বিশেষ কমিটির আহ্বায়ক, মোঃ রাশেদুল করিম মুন্না সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘পরিবেশ সচেতনতা ও সবুজ পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পাটের তৈরি শপিং ও ফুড গ্রেড ব্যাগ, কম্পোজিট, জিও-টেক্সটাইল, পাল্প ও কাগজের বিশাল বাজার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’

জাতীয় পাট দিবস-২০১৮ উপলক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

সারাবাংলা/জিএস/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর