‘বোরকা পরে নৌকায় ভারতে পালাতে চেয়েছিল সাহেদ’
১৫ জুলাই ২০২০ ১০:০৭
ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় অনিয়ম-প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরিচয় আড়াল করতে বোরকা পরে নৌকায় সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার আগ মুহূর্তে তাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি দল। গ্রেফতারের পর সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘সাহেদকে গ্রেফতারের জন্য আমরা আগে থেকেই সীমান্ত এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় ভোরে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।’
লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেমের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে প্রতারক সাহেদকে নৌকায় করে সীমান্ত পার হওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয়। নিজেকে আড়াল করতে সাহেদ বোরকা পরে ছিলেন। সে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলিভর্তি একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।
সাহেদ উঁচুমানের প্রতারক উল্লেখ করে আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘সাহেদ বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনের চেষ্টা করছিলেন। তার বাড়ি সাতক্ষীরা হলেও তিনি বাড়ি না গিয়ে বিভিন্ন বার বার স্থান পরিবর্তন করে আশে-পাশে ঘুরছিলেন। তাকে ধরতে র্যাব সারা দেশব্যাপী সম্ভাব্য সব জায়গায় নজরদারি বাড়িয়েছিল।’
এদিকে সাহেদকে আনার পর র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দুপুর একটার দিকে র্যাব মহাপরিচালক এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন।