‘জাল টাকায় ঋণ পরিশোধ করতেন সাহেদ’
১৫ জুলাই ২০২০ ১৪:৪৯
ঢাকা: রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের গোপন বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই টাকা দিয়ে সাহেদ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতেন বলে র্যাব জানিয়েছে। সাহেদকে ইন্টারোগেশন সেলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ওই বাসায় অভিযান শুরু হয়।
বুধবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে র্যাব সদর দফতর থেকে সাহেদকে নিয়ে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোডের ৬২ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। সেখানে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে অভিযান।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘সাহেদের দেওয়া তথ্য মতে, ওই গোপন বাসা থেকে যে জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে সে ঋণ পরিশোধ করতো। ভুক্তভোগীরা দীর্ঘদিন ঘুরেও যখন টাকা পাচ্ছিল না তখন এসব টাকা পেয়ে অনেকই খুশি হতেন।
তিনি বলেন, “তবে যখন এসব টাকা নিয়ে বিপাকে পড়তেন, বুঝতেন জালটাকা- তখন আবারও ভুক্তভোগীরা সাহেদের কাছে যেতেন। এরপর সাহেদ বলতো, ‘আমি আপনাদের ঋণের টাকা পরিশোধ করেছি, আর এখন বলছেন এসব টাকা জাল। এখন কী করবেন, যান মামলা করেন আমার নামে।”
বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর ৫ টা ১০ মিনিটে সাহেদকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাবের বিশেষ দল। শাখরা কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীতীরের ইছামতি খাল দিয়ে সে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। সাহেদ স্থানীয় দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে র্যাব জানিয়েছে।
এর আগে সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় অনিয়ম-প্রতারণার বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসে সারাবাংলার অনুসন্ধান। বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরেও। ৬ জুলাই হাসপাতালটিতে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে বিভিন্ন অনিয়ম-প্রতারণার প্রমাণ মেলে। পরে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে প্রশাসন।