স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি প্রসঙ্গ কৌশলে এড়িয়ে গেলেন মুখপাত্র
১৫ জুলাই ২০২০ ২৩:০২
ঢাকা: করোনকালীন সময়ে মাস্ক সরবরাহ ও পিপিইখাতে দুর্নীতি এবং সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি গ্রুপের দুর্নীতির প্রসঙ্গটি কৌশলে এড়িয়ে গেলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড ১৯ বিষয়ক মুখপাত্র ডা. আয়েশা আক্তার।
বুধবার (১৫ জুলাই) বিকেলে করোনাকালে স্বাস্থ্য পরিস্থিতি-সারাবাংলা ফোকাস অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান। অনুষ্ঠানে আরও অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কলসালটেন্ট অধ্যাপক আকরাম হোসেন, স্বাচিপের মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড ১৯ বিষয়ক মুখপাত্র ডা. আয়েশা আক্তারকে প্রশ্ন করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালের দুর্নীতি নিয়ে তথা লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালকে কেন অনুমোদন দেওয়া হয় করোনা চিকিৎসার জন্য এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই সময়টি একটি ক্রাইসিস সময় ছিল। সে জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু যখন দেখা গেল তারা দুর্নীতি করেছে তাদের শাস্তি কিন্তু তারা পেয়েছে। যারা দুর্নীতি করবে তারা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে।’
র্যাব রিজেন্টকে ধরার আগে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানায়, রিজেন্ট হাসপাতালের মান নেই। এ ছাড়া সামাজিক প্রতিষ্ঠান নিপসন জানিয়েছিল তাদের সমস্যা আছে এই বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘র্যাবের কাছে অভিযোগ আসে এবং আমাদের কাছেও অভিযোগ আসে। কিন্তু কাউকে ধরতে গেলে তো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ লাগে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাজ করছে।’
তখন তিনি অন্য প্রসঙ্গে গিয়ে বলেন, ‘যদি দুর্নীতির সঙ্গে কেউ জড়িত থাকেন অবশ্যই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা জীবনবাজি রেখে কাজ করছি। এগুলো কিন্তু দেখতে হবে। যারা অন্যায় করছে তাদের প্রতি আঙুল তুলতে হবে।’
যারা অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি আরও বলেন, ‘অন্যায়কে কেউ প্রশ্রয় দিয়ে থাকলে তা অবশ্যই ধরা পড়বে। এ সব বিষয়ে তদন্ত চলছে, অনুসন্ধান চলছে।’
এন৯৫ মাস্ক নিয়ে দুর্নীতির প্রতিবেদন কেন এখন প্রকাশ করা হচ্ছে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে আয়েশা আক্তার বলেন, ‘সেটা অবশ্যই প্রকাশ করা হবে। আর মুখপাত্র হয়েছে কিছুদিন আগে। আর যেগুলো যেগুলো জানা প্রয়োজন সেগুলো কিন্তু অবশ্যই প্রকাশ করা হবে। আর এখনও অনুসন্ধান চলছে। তদন্ত চলছে। আর দুর্নীতিবাজ মানুষগুলোর জন্য আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এই সময়ে কেউ দুনীতি করতে পারে তা কারও মাথায় ছিল না। সে জন্য তদন্ত, অনুসন্ধান ও মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে। আমরা দেশের স্বার্থে কাজ করছি। আমাদের ২৪ ঘণ্টার কাজটা কিছু মানুষের জন্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে।’
হাসপাতালে ঠিকমতো মনিটরিং হলে কি এমনটা হতো এই প্রশ্নে আয়েশা বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালগুলো সবসময় সঠিকভাবে মনিটরিং করা হয়। কিন্তু দুনীতিবাজরা ভেতরে ভেতরে এমন কিছু করে যা সবসময় মনিটরিং করা সম্ভব হয় না।’