ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন স্বাস্থ্যখাতে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে তা পর্যায়ক্রমে তৃণমূলে যাবে, অভিযান চলবে অনিয়মের আবর্তে থাকা অন্যান্য খাতেও।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে নিজ বাসভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়, দলীয় পরিচয় দিয়ে অনিয়ম করা যাবে না। শেখ হাসিনা জনগণের মনের ভাষা বোঝেন। তার কাছে কোনো অপরাধের ছাড় নেই। তাই আসুন আমরা নিজের বিবেকের কাছে পরিশুদ্ধ থাকি, জবাবদিহি করি অসহায় মানুষের হক নষ্ট না করে তাদের পাশে দাঁড়াই। তবেই প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’
‘২০০৭ সালের এদিনে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনগণের অধিকার আদায়ের কণ্ঠস্বরকে অবরুদ্ধ করে দীর্ঘ ১১ মাস। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতিকূলতার স্রোত মাড়ানো আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালের ১০ জুন কারামুক্ত হন বাঙালির আশার বাতিঘর, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রুপকার শেখ হাসিনা। পিতা মুজিবের পথ অনুসরণ করে দেশের মানুষের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত মানুষের আশার প্রদীপ শেখ হাসিনা’, বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে বন্দি করে যারা রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে চেয়েছিলো, রাজনীতির হাত থেকে জনমানুষের মুক্তির লড়াইকে রুদ্ধ করতে চেয়েছিলো তারা ১১ মাসে বুঝেছে মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়ে বন্দি শেখ হাসিনা অনেক শক্তিশালী।’ দেশ ও জাতির যেকোনো সংকটে শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্ব ও দক্ষতার উপর জণগণের দৃঢ় আস্থা রয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ‘গত ২ দিন থেকে গণপরিবহন বিষয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে আমি আপনাদের বিষয়টি পরিস্কার করতে চাই। আসন্ন ঈদুল আজহা দেশব্যাপী গণপরিবহন চলাচল করবে, তবে প্রতিবছরের মতো ভারী পরিবহন তিন দিন আগে বন্ধ থাকবে। এরমধ্যে জরুরি সার্ভিস অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যেমন পচনশীল দ্রব্য ওষুধ ছাড়াও রয়েছে গার্মেন্টসসামগ্রী পশুবাহী গাড়ি নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এ বিষয়ে বিআরটিএ গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিস্তারিত জানাবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে সীমিত পরিসরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
এছাড়াও সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন শাহাবুদ্দিন ফরাজী আনিসুর রহমান।
সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।