Sunday 06 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বগুড়ায় বেড়েই চলছে যমুনার পানি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফাটল


১৬ জুলাই ২০২০ ২২:২৩ | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ১০:৩১
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বগুড়া: চলতি মৌসুমে এখন যমুনার পানি বিপদ সীমার সর্বোচ্চ অবস্থানে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, আর ২ সেন্টিমিটার পানি বাড়লেই বগুড়ায় যমুনার পানি আগের বিপদসীমার রেকর্ড অতিক্রম করবে। আর যমুনার পানি অব্যাহত বৃদ্ধি থাকায় নদী তীর এলাকা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর আশ্রয় নেওয়া লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিকালে যমুনার পানি বিপদসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গড়ে গত ৩ দিনে পানি বেড়েছে ২৩ সেন্টিমিটারের ওপর। পূর্বের রেকর্ড ছিলো বিপদসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার। ইতোমধ্যে জেলার ৪৩ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের এক তৃতীয়াংশ এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখানে দিয়ে পানি ঢুকে পড়তে শুরু করছে।

বিজ্ঞাপন

সবেচেয়ে বেশি সিপেজ হচ্ছে জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকায়। এখানকার ২৮ কিলোমিটার হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিস্ট উপবিভাগীয় প্রকৌশলীরা জানান। তবে

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পানি কম বেশি চুঁইয়ে প্রবেশ করছে। এতে আতংকের কারণ নেই। পানি যেন ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য চট ও জিওটেক্সের বালু ভর্তি বস্তাসহ প্রয়োজন অনুযায়ী পাইলিং করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে যমুনার পানি কমে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

জেলা ত্রান অফিস জানিয়েছে, গত কয়েক দিনের বর্ষণ ও উজান থেকে আসা ঢলে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি পরিবার প্রায় সাড়ে ৩০ হাজার মানুষ।

বগুড়া পানি উন্নয়নের বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুবর রহমান জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে লিকেজ ও সিপেজ থাকলেও তা গুরুতর নয়। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাজকিয়া জানান, সারিয়াকান্দির দড়িপাড়া থেকে দেবডাঙ্গা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারে সিপেজ (পানি চুঁইয়ে ঢোকা) বেশি। এছাড়া ঘুঘুমারি মধ্যাপাড়া, উত্তরপাড়া, হাওড়া খালি, গোদাখালি, চুনিয়াপাড়াসহ কুতুপপুর থেকে দেবডাঙ্গার মধ্যবর্তী স্থানেও সিপেজ রয়েছে।

পাশের ধুনট উপজেলায় কর্মরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, সেখানে অন্তত ২০টি পয়েন্টে কমবেশি সিপেজ রয়েছে। পাকুল্লা, আচারপাড়া ও অন্তরপাড়া পয়েন্টেও সিপেজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনাতলা উপজেলায় দায়িত্ব পালন করা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল আলম।

টপ নিউজ পানি পানি উন্নয়ন বোর্ড যমুনা যমুনার পানি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর