Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খানা খাজানার বিরুদ্ধে ভ্যাট গোয়েন্দার মামলা


১৬ জুলাই ২০২০ ২৩:৫৩

ঢাকা: ক্রেতাদের কাছ থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নিলেই সরকারি কোষাগারে জমা দেননি সেই ভ্যাট। আবার সেই ভ্যাটের তথ্য লুকিয়ে রেখেছেন খানা খাজানার মালিকের অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে। অভিযান চালিয়ে উদ্বার করা হয়েছে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য। অবশেষে দায়ের করা হয়েছে মামলা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

তিনি জানান, রেস্টুরেন্টের নাম ‘খানা খাজানা’, ১৭৫ গুলশান এ্যাভিনিউ। এটি ইন্ডিয়ান কুইজিন নামে পরিচিত।উদ্ধার করা কম্পিউটারের তথ্য অনুযায়ী ডিসেম্বর ২০১৯ ও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২০২০ এই তিন মাসে রেস্টুরেন্টের মোট বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭৮ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এই সময়ে মোট ভ্যাট পরিশোধযোগ্য মূল্য প্রদর্শন করেছেন মাত্র ১৫ লাখ ৭১ হাজার টাকা। গুলশান ভ্যাট বিভাগে প্রতিষ্ঠানটি মাসিক রিটার্নে প্রায় ৬২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা কম বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করেছেন।তার রিটার্ন অনুসারে ডিসেম্বরে বিক্রি দেখানো হয়েছে ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, জানুয়ারি মাসে দেখিয়েছেন ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং ফেব্রুয়ারি মাসে শূন্য বিক্রি দেখিয়েছেন।

রেস্টুরেন্টে খাবারের ওপর তিনি কাস্টমারের নিকট ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট সংগ্রহ করেছেন ১১ লাখ ৭২ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি রিটার্নের মাধ্যমে ভ্যাট দিয়েছেন মাত্র ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

মইনুল খান আরও জানান, ১৫ জুলাই রেস্টুরেন্টের মালিক নিজাম উদ্দিনকে ভ্যাট গোয়েন্দায় তলব করা হয়। তিনি তিন মাসের বাকি ভ্যাট পরিশোধ কেন করেননি, তার সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর ধারণা করছে, রেস্টুরেন্টটি শুরু থেকেই এই হারে লাখ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে। তবে এবিষয়ে আরও তথ্যভিত্তিক অনুসন্ধান করার জন্য ঢাকা উত্তর ভ্যাটের বিচারিক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কেবল ওই তিন মাসের গোপন হিসাব অনুযায়ী মোট ৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় আজ ‘খানা খাজানা’র মালিকের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অন্যদিকে মোহাম্মদপুরে চাঁদ উদ্যানে একই মালিক নিজাম উদ্দীনের মালিকানাধীন নিজাম ইলেকট্রিকের গুদামে যে পরিমাণ ইলেকট্রিক মটর তৈরির কাঁচামাল আমদানি করা হয়েছে তা দিয়ে পণ্য উৎপাদন করে ভ্যাট না দিয়ে বাজারে বিক্রি করার তথ্য পাওয়া যায়। তিনি মোহাম্মদপুর ভ্যাট বিভাগে দাখিলকৃত মাসিক রিটার্নে গত ছয় মাসে ‘জিরো’ উৎপাদন প্রদর্শন করে আসছিলেন। রিটার্নে তিনি ক্রয় ও বিক্রয়ের কোনো তথ্য প্রদর্শন করেননি। তার এই অপরাধের কারণে ইলেকট্রিক কারখানায় সরকারের ১ কোটি ৪২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে। ইলেকট্রিকের এই মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে খানা খাজানার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে চাঁদ উদ্যানে প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে।

উল্লেখ্য, ভ্যাট গোয়েন্দার দলটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৩ জুলাই ভ্যাট আইনের ধারা ৮৩ অনুযায়ী মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানের (প্লট ২, রোড ৩) ‘নিজাম ইলেকট্রিক ইন্ডাস্ট্রিজ’ এর কারখানায় অভিযান চালিয়ে একইসঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করে। উভয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১৬ জুলা্‌ই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

খানা খাজানা গোয়েন্দা টপ নিউজ ভ্যাট ফাঁকি রেস্টুরেন্ট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

আইভরি কোস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪০

সম্পর্কিত খবর