‘টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চায় বাংলাদেশ’
১৭ জুলাই ২০২০ ১৬:৪৮
ঢাকা: মিয়নমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিংসা-বিদ্বেষ। পৃথিবীতে যুদ্ধ, বিগ্রহ ও অশান্তি কমাতে ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী নির্বিশেষে একে অন্যেরর প্রতি বিদ্বেষ কমাতে হবে। বাংলাদেশ আগামীতে পৃথিবীতে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চায়।
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে সামার সেমিস্টার ২০২০-এ ভর্তি হওয়া নবাগত শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল নবীনবরণ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুক্রবার (১৭ জুলাই) পাঠানো এক বার্তায় এ কথা বলা হয়েছে।
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে সামার সেমিস্টার ২০২০-এ ভর্তি হওয়া নবাগত শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল নবীনবরণ অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আগামীতে পৃথিবীতে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চায়। পৃথিবীতে যুদ্ধ, বিগ্রহ ও অশান্তি কমাতে হলে ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষ কমাতে হবে। হিংসা-বিদ্বেষের কারণে পৃথিবীতে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। মিয়নমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণও হিংসা-বিদ্বেষ।
ড. মোমেন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষদের জন্য সারাবিশ্বে কর্মসংস্থানের বাজার উন্মুক্ত রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে প্রায় ৬ লাখ তথ্য দক্ষ জনবল আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে বাংলাদেশ এ খাতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শিক্ষা। শিক্ষা দুর্বল হলে নীতি, রাষ্ট্রীয় আইন-কানুন দুর্বল হয়, দেশ পিছিয়ে যায়। এ কারণে গুণগতমানের শিক্ষার গুরুত্ব সবসময়। শিক্ষা ছাড়া উন্নত জীবন সম্ভব নয়। আত্মবিশ্বাস ও বর্তমান সময়কে সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারলে সফলতা আসবে। অতীত থেকে প্রেরণা নিতে হবে, কিন্তু অতীত নিয়ে বসে থাকা চলবে না। ভবিষ্যতের নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য এখন পরিশ্রম করতে হবে।
এসময় যথাযথ শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলে শিক্ষার্থীরা এই দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভার্চুয়াল নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা এ এন এম মেশকাত উদ্দীন, রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল (অব.) কাজী ফখরুদ্দীন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নবাগত শিক্ষার্থীরা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বিশ্ব শান্তি ভার্চুয়াল নবীনবরণ শান্তি প্রতিষ্ঠা সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়