‘চমেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদদ দিচ্ছে বিএমএ’
১৮ জুলাই ২০২০ ১০:৫৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম জেলা শাখার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদদ দেওয়ার অভিযোগ এনেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাত শিক্ষার্থী। চমেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত এই শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
গত রোববার (১২ জুলাই) সকালে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণের জন্য যান স্থানীয় সাংসদ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। কর্মসূচি শেষে তিনি হাসপাতাল ত্যাগের পর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও নওফেলের অনুসারী চমেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে দুই পুলিশসহ অন্তত ১৩ জন আহত হন।
এ ঘটনায় পরদিন নওফেলের অনুসারী চমেক ছাত্রলীগের নেতা খোরশেদুল আলম বাদী হয়ে ১১ চিকিৎসকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন চিকিৎসক সোহেল পারভেজ সুমন, হিমেল চাকমা, সায়েম তানভীর, ওয়াসিম সাজ্জাদ রানা, হাবিবুর রহমান, এম আউয়াল রাফি, ওসমান গণি, ফয়সাল আহমেদ, তাজওয়ার রহমান অয়ন, আরমানউল্লাহ চৌধুরী ও নাবিদ তানভীর এবং চমেক ছাত্র শাহরিয়ার মো. রাহাতুল ইসলাম, আল আমিন ইসলাম শিমুল, সোয়েব আলী খান, ওয়াহিদ মুরাদ শাহীন ও মাহাদি বিন হাশিম। আসামিরা সবাই মেয়র নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
বৃহস্পতিবার বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার পক্ষ থেকে প্রতিবাদ বিবৃতি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, মামলা প্রত্যাহার করা না হলে বিএমএ আন্দোলন ও প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এছাড়া ইন্টার্নি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (আইইডি) এবং চমেক ছাত্রসংসদের পক্ষ থেকেও পাঠানো বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এসব বিবৃতির প্রতিবাদে মারামারিতে ‘আহত’ চমেকের ৭ ছাত্র পাল্টা বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন। এরা হলেন চমেকের পঞ্চম বর্ষের খোরশেদুল আলম ও ইমন সিকদার, তৃতীয় বর্ষের অভিজিত দাশ, ফাহাদুল ইসলাম, কনক দেবনাফ ও হোজাইফা বিন কবির এবং দ্বিতীয় বর্ষের সাজেদুল ইসলাম।
বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে পরিকল্পিত হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বিবৃতি দিয়েছে বিএমএ, আইইডি ও চমেক ছাত্র সংসদ। এই বিবৃতি সংগঠনের ভাবমূর্তিতে কালিমা লেপন করে দিয়েছে। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহোদয়ের আগমন ও উপস্থিতিকে অহেতুক বিতর্কিত করতে সিক্রেট ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানো হয়েছে। চমেক হাসপাতালের ভিডিও ফুটেজ দেখলে এটা পরিষ্কার হবে।
তারা বলেন, চমেক গত দুই যুগে যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, যত রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসী ঘটনা হয়েছে, এর নায়ক ও মামলার আসামিরাই সেদিনের ঘটনার কুশীলব। যারা হামলার শিকার হয়েছেন, তারা সবাই চমেকের ছাত্র। যারা হামলা করেছে তাদের বেশিরভাগেই বহিরাগত। ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে তারা আরেকটি রক্তক্ষয়ী ঘটনার জন্ম দিতে চেয়েছিলেন।