Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘হত্যার পরদিন টুকরো করা হয় ফাহিমের মরদেহ’


১৮ জুলাই ২০২০ ১৪:৪৬

নিউইয়র্ক: গোয়েন্দাদের ধারণা অনুযায়ী পাঠাও-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা তরুণ উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ’কে হত্যা করা হয় ১৩ জুলাই (সোমবার)। তবে সন্দেহভাজন খুনি মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) আবারও তার ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল মরদেহ টুকরো করতে।

এর আগে, ভাইকে ফোনে না পেয়ে ফাহিমের ছোট বোন মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) তার অ্যাপার্টমেন্টে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, শরীর থেকে মাথা, হাত ও পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ফাহিমের মরদেহ পড়ে আছে এবং শরীরের একটা অংশ পাশের একটি প্লাস্টিক ব্যাগে ভরা। পাশেই পড়ে আছে একটি ইলেকট্রিক করাত। এরপর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার সেই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, ফাহিম সালেহকে খুন করার পর খুনি ওই দিন চলে যায়। পরদিন আবার ওই কামরায় ফিরে এসে, ইলেকট্রিক করাত দিয়ে মরদেহ টুকরা করে বড় আকারের ব্যাগে ভরে ফেলে। এছাড়াও, হত্যার আলামত মুছে ফেলারও চেষ্টা করে।

মার্কিন দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে দুজন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, হত্যাকারী যখন ফাহিম সালেহর শরীর টুকরা টুকরা করে ব্যাগে ভরছিল, তখনই তার বোন ওই কামরায় ঢুকছিলেন। লবিতে পৌঁছালে হত্যাকারী বিষয়টি টের পায়, তখন কামরার পেছনের দরজা ও সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে যায় সে।

এদিকে, শুক্রবার (১৭ জুলাই) ফাহিমকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিলকে। একইদিনে তার বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এক সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের প্রধান গোয়েন্দা কর্মকর্তা রোডনি হ্যারিসন সাংবাদিকদের বলেন, ফাহিমের অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো তদারকি করতো সন্দেহভাজন হাসপিল।

বিজ্ঞাপন

পাশাপাশি নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ফাহিম সালেহ যখন জানতে পারেন তার চিফ অব স্টাফ টেরেস এক লাখ ডলার আত্মসাৎ করেছে, তখন তাকে ওই টাকার জন্য চাপ দেন। পরে টেরেস টাকা ফেরৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়। এর জেরেই ফাহিম সালেহ খুন হন বলে নিউইয়র্ক পুলিশের ধারণা।

প্রসঙ্গত, ফাহিম সালেহর জন্ম ১৯৮৬ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে পড়াশোনা করতেন ফাহিম। নাইজেরিয়া আর কলম্বিয়াতে তার দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানি রয়েছে। পেশায় ওয়েবসাইট ডেভলেপার ফাহিম অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল গ্লোবাল নামক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানেরও উদ্যোক্তা ছিলেন। ফাহিমকে হত্যার ঘটনায় বিশ্ব মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যেই তিনি পশ্চিমা মিডিয়ায় টেক জায়ান্ট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই নিজের প্রযুক্তি প্রতিভার প্রমাণ দেন এ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ৩৩ বছর বয়সী ফাহিম চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের হরিসপুরের আইবিএমের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সালেহ আহমেদের ছেলে।

টুকরো ফাহিম সালেহ মরদেহ হত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর