মেঘনার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত চাঁদপুরের স্কুল ও ৭ শতাধিক বাড়ি
১৮ জুলাই ২০২০ ২১:২১
চাঁদপুর: চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে হুহু করে বাড়ছে পানি। এতে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন । এ ভাঙ্গনে উদ্বোধনের আগেই নদীগর্ভে বিলিনের মুখে রয়েছে রাজরাজেশ্বর ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে ইউনিয়নের প্রায় দুইশ বাড়ি সরিয়ে নিতে হয়েছে এবং আরও পাঁচশ বাড়ি নদী ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ভাঙ্গনের শিকার আবুল বেপারী বলেন, জোয়ার শেষে ভাটার সময়ে ভাঙ্গন শুরু হয়। তবে গত ৩০ বছরের ইতিহাসে এবারই ভাঙ্গনের ভয়াবহতা চরম পর্যায়ে চলে গেছে। কারণ এবছর পাশ্ববর্তী জেলা শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ এলাকায় মেঘনার ভাঙ্গনরোধে যে বাঁধ দেয়া হয়েছে তার পানি প্রবাহের মুখটি রাজরাজেশ্বরের দিকে। এর ফলে ওই জেলার দেয়া বাঁধের স্রোত ঝুঁকিপূর্ণভাবে এখানকার পাড়ে আঘাত হানছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোন ত্রাণ চাই না। আমরা চাই আমাদের ভিটেমাটি রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। ভাঙ্গন ঠেকাতে
আমরা স্থানীয় এমপি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হযরত আলী বেপারী জানান, কয়েক দিন ধরে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতধারায় নবনির্মিত বিদ্যালয় হুমকির মুখে রয়েছে। বিদ্যালয়টি নির্মাণ করতে প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। বিদ্যালয়ের চারিদিকে পানি থাকায় ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, ভাঙন শুরু হবার আগেই আমরা সাইক্লোন সেল্টার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বাড়িঘর রক্ষায় ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, নদী ভাঙ্গন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী বলেন, ওই এলাকার ভাঙ্গন ঠেকানো অনেকটা অসম্ভব। কারণ, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের একপাশে পদ্মা আর আরেক পাশে মেঘনা।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার বলেন, ওই এলাকাটি খুবই ভাঙনপ্রবণ। পর্যবেক্ষণের পর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।