ঢাকা: চিকিৎসা বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা বাস্তবায়নে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১৯ জুলাই) ব্চিারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব। পরে তিনি জানান, আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে জানাতে পরিবেশ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০০৮-এর বিধি-বিধান পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন চেয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গত ১২ জুলাই আইনি নোটিশ পাঠান পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. আনিকা আলী এবং মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার।
নোটিশের জবাব না পাওয়ায় গত ১৪ জুলাই হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক, বন ও পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ দেশের সকল সিটি করপোরেশনের মেয়রদেরকে বিবাদী করা হয়।
আবেদনে বলা হয়, ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি কর্তৃপক্ষ বিধিমালা অনুযায়ী তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলশ্রুতিতে অন্যান্য বর্জ্যের মতো চিকিৎসাবর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও অস্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশ দূষণ ঘটছে। বিশেষ করে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এই আশঙ্কা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। সরকারিভাবে লাখ লাখ পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগেও কোটি কোটি মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহৃত হচ্ছে। একইসঙ্গে করোনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিপুল পরিমাণ অন্যান্য মেডিকেল সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব চিকিৎসাবর্জ্যের যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে না পারলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।’
প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী চিকিৎসাবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা না গেলে জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশ বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়বে।