‘এখনই সময় এগিয়ে যাবার, নারীর জীবন বদলে দেবার’
৮ মার্চ ২০১৮ ০৮:৩৩
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : ‘এখনই সময় এগিয়ে যাবার, নারীর জীবন বদলে দেবার’ এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করছে। এ বছর নারী-পুরুষ অঙ্গীকার করবে নারীর জীবন বদলের এবং সকল ক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকার, সমমর্যার্দা, সমঅংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার জন্য আমরা সর্বদা সোচ্চার।
আমরাও পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি হাতে নারী-পুরুষরা এই শপথ নেন।
এ সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘আমি একাধারে নারী, কন্যা, জায়া, প্রেমিকা। সবচেয়ে বড় হলো আমি মানুষ। এই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য নারীরা সংগ্রাম করছে। নারীর অর্থনেতিক মুক্তি ও সুশিক্ষার ব্যবস্থা না হলে রাষ্ট্রের কোনও লক্ষ্যই বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব হবে না। আপনারা ধৈর্য ধরেন নারীর এগুলো খুব শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে।
আমরাও পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, পৃথিবীতে ঝড়-ঝঞ্ঝা, যুদ্ধ, মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যত মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়েছে। নারী তার ব্যক্তিগত জীবনে এর থেকে অনেক বেশি বিপদগ্রস্ত হয়েছেন। তাই আজ আমরা নারীরা রাতের অন্ধকারের পাশাপাশি মনের আঁধারও দূর করতে চাই। এখনই সময়, আমরা নির্যাতন সহ্য করবো না। মর্যাদার হানি ঘটবে এমন কিছু হতে দেব না।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের উদ্যোগে নারী অধিকারের বাস্তব রূপ আমরা দেখতে চাই। আমরা সবক্ষেত্রে নিরাপদ থাকতে চাই। আমাদের নিরাপত্তার বিধান রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেটা তাদের করতেই হবে। তনু হত্যা, মারমা দুই নারীকে নির্যাতন, সাগর-রুনি হত্যার মতো ঘটনাগুলোর বিচার করতে হবে রাষ্ট্রকে। যারা রাজনীতি করেন, তারা ক্ষমতার বাইরে থাকলেও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ৮ মার্চ শুধু নারী দিবস পালন করলেই হবে না, কেউ যাতে নারী নির্যাতন করতে না পারে এ প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাব। আর পুরুষদেরও বলতে হবে, তারা পুরুষ হওয়ার আগে মানুষ হবে। তাহলেই নারী দিবসের তাৎপর্য বাস্তবে প্রতিফলিত হবে। নারীদের প্রতি পুরুষদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
সারাবাংলা/এসআর/টিএম