করোনায় মারা গেলেন বিএনপি নেতা আউয়াল খান
২০ জুলাই ২০২০ ১৬:৩২
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খান। সোমবার (২০ জুলাই) দুপুর সোয়া ২টায় রাজধানীর মহাখালী শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। মরহুমের ছোট ভাই আবদুল নবিন খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ভাইকে (আবদুল আউয়াল খান) গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার টেস্টে পজেটিভ আসে। তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে মুগদাতে আইসিইউ বেড না পেয়ে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।’
‘মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাসার আইসোলেশনে ছিলেন আবদুল আউয়াল খান। অবস্থার অবনতি হলে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউ ব্যবস্থা না থাকায় শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরিত করা হয়’— বলেন আব্দুল নবিন খান।
এদিকে আব্দুল আউয়াল খানের মৃত্যুকে শোক জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘বিএনপি’র রাজনীতির এক অকুতভয় সৈনিক ছিলেন মরহুম আব্দুল আউয়াল খান। শোকে, সংকটে, লড়াই সংগ্রামের এক অনন্য যোদ্ধা আব্দুল আউয়াল খান বিএনপির রাজনীতিকেই বেছে নিয়েছিলেন জীবনের অভিষ্ট্য লক্ষ্য হিসেবে। নানা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্যেও মরহুম আব্দুল আউয়াল খান দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ছোবলে তার মতো একজন যোগ্য ও দক্ষনেতা না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় বিএনপির সকল নেতাকর্মী শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। ছাত্র জীবন থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ ও দেশনেত্রীর নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে মাথা উঁচু করে রাজরোষকে উপেক্ষা করে দলের সাংগঠনিক তৎপরতায় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। এই জন্য নিবেদিত প্রাণ এই নেতাকে সইতে হয়েছে নানা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। তার এই সংগ্রামী ভূমিকার জন্য তিনি দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই নিজের জীবনকে বিপন্ন করে নিরন্ন কর্মহীন মানুষের পাশে বারবার ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। অকালে পৃথিবী থেকে তার চলে যাওয়া আমাদের জন্য অনেক কষ্টের এবং বেদনার।’