Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কুড়িগ্রামে দুর্ভোগে বানভাসিরা, বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ


২০ জুলাই ২০২০ ১৮:৪৯

কুড়িগ্রাম: জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্তিতির উন্নতি হয়নি। দীর্ঘ ২৬ দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, উলিপুর, কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষ ৩ লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ।

বিশেষ করে দুর্গম চর ও দ্বীপচরগুলোর মানুষজনের ঘরে এখনও এক কোমর, এক গলা পানি থাকায় ছোট ছোট নৌকায় বসবাস করছে এসব এলাকার মানুষজন। প্রায় ৪ সপ্তাহ ধরে এভাবে বসবাস করায় খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠছে। পাশাপাশি বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গো খাদ্যের সংকট তাদের জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে তুলেছে। দুর্গত এলাকায় বড় নৌকা দেখলেই ত্রাণের আশায় ছুটাছুটি করছে বানভাসিরা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ। উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মশালের চরের সাজেদা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে নৌকার মধ্যে খেয়ে না খেয়ে বসবাস করলেও এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ পাইনি। পানিতে থাকতে থাকতে হাতে-পায়ে ঘা হয়েছে। আবার খাবার পানি নাই। এই বন্যার পানি যে কতদিনে নেমে যাবে, তারপর রক্ষা।

উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘সরকারি যে ত্রাণ পেয়েছি তা সব বন্যাকবলিত পরিবারকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। মানুষজন খুবই দুঃখ-কষ্টে দিন পার করছে। তাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।’


সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ১৭০ মেট্রিক টন চাল, জিআর ক্যাশ ৯ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলেও জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, ত্রাণের পাশাপাশি চলতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে জেলার ৪ লাখ ২৮ হাজার ৫২৫ পরিবারকে ভিজিএফ’র ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। ত্রাণের পাশাপাশি এই চাল বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজনের উপকারে আসবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানির তোড়ে রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকার ক্রস বাঁধটি ধসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।’ বালির বস্তা ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

টপ নিউজ ধরলার পানি বন্যা পরিস্থিতি বিপদসীমার উপর ব্রহ্মপুত্র রৌমারী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর