ঈদে বাজারে আসছে ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট
২২ জুলাই ২০২০ ১১:৫০
ঢাকা: ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে করোনার কারণে রোজার ঈদের মতো কোরবানির ঈদেও সর্ব সাধারণের মাঝে নতুন টাকা বিনিময়ের সুযোগ রাখা হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ঈদের আগের মাসের বেতন ও বোনাসের টাকা নতুন নোটে পাওয়ার আশা করেন অনেক চাকরিজীবী। এ ছাড়া ঈদের আগে সালামি ও বকশিশের জন্য নতুন টাকা সংগ্রহ করে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি ফিতরা কিংবা দান-খয়রাতের জন্যও অনেকে নতুন টাকা সংগ্রহ করেন। এজন্য প্রতিবছর বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় নতুন টাকার জন্য সাধারণ মানুষ ভিড় থাকে। এসব কারণে প্রতিবছর দুই ঈদে নতুন টাকা বাজারে ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা থেকে জনসাধারণের জন্য নতুন টাকা বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। গত রোজার ঈদে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট এবং গত বছরের কোরবানির ঈদে ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হয়েছিল।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছরই ঈদের আগে বাজারে নতুন নোট ছাড়া হয়। বিশেষ করে কর্মকর্তা/কর্মচারিদের বেতন ভাতা দেওয়ার সময় নতুন নোটের বেশ চাহিদা থাকে। এইসব চাহিদার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক এবার ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিযেছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর তার আগের বছরের তুলনায় নতুন নোট ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লেনদেনকালে গ্রাহকরা নতুন টাকা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও এটিএম বুথেও গ্রাহকরা নতুন টাকা পাবেন।’
সূত্র জানায়, প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের আগে বাজারে নতুন নোট ছাড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও নতুন নোট ছাড়া হবে। এই বছরের নতুন নোটের মধ্যে রয়েছে ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট। ২০১৯ সালে কোরবানির ঈদে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং গত রোজার ঈদে ২৫ হাজার কোটি টাকা নতুন নোট ছাড়া হয়েছিল। এ বছর কোরবানির ঈদে ২৫ হাজার কোটি টাকা বাজারে ছাড়া হচ্ছে। তবে বিশেষ চাহিদা থাকলে বাজারে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়তে পারে বলেও জানা গেছে।
সূত্র আরও জানায়, দেশে প্রতিবছর ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বিভিন্ন মূল্যমানের নোট প্রয়োজন হয়। এর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রয়োজন হয় দুই ঈদে। তবে এবার করোনার সংকটের কারণে নগদ টাকার চাহিদা বেশি হচ্ছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এক লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন শুরু হওয়ায় বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। এই মুদ্রা সরবরাহের একটি অংশ নগদ টাকা হিসেবে যাচ্ছে।