‘জিনোম সিকুয়েন্সে বোঝা যাবে কোন ধরনের ভ্যাকসিন কার্যকরী হবে’
২২ জুলাই ২০২০ ১৩:২৯
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় বিভিন্ন রকমের ওষুধ বা ভ্যাকসিনের কথা শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত আসেনি কোনো বৈজ্ঞানিক সমাধান। ভাইরাসটির ধরন নিয়েও চলছে নানা গবেষণা। এ গবেষণায় পিছিয়ে নেয় বাংলাদেশও। সম্প্রতিকালে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই জিনোম সিকুয়েন্স করে জমা দিয়েছে। আর এমন অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই জিনোম সিকুয়েন্সিংয়ের কারণে বাংলাদেশে কোন ধরনের ভ্যাকসিন কার্যকর হবে তা বুঝতে সাহায্য করবে।
১২ মে বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো জিনোম সিকুয়েন্স নির্ণয় করে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ)।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশেই করা জিনোম সিকুয়েন্সের কারণে এখন নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কী ধরনের ভ্যাকসিন দেশে কার্যকর হতে পারে তা বোঝা যাবে। আমরা সামনের দিনগুলিতেও এই সিকুয়েন্সিংয়ের কাজ করে যাবো যাতে নতুন কোনো তথ্য নিয়ে আসতে পারি জনগণের সামনে।’
তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে আসলে আমরা এখন একটু ভিন্নভাবে সামনের সিকুয়েন্সগুলো করার চেষ্টা করছি। আমরা স্ট্রেইনগুলোকে একটু পিকআপ করছি যাতে আমরা আসলেই ডিটেইলটা বুঝতে পারি। কোনটা কোথা থেকে আসছে, কী ধরণের পরিবর্তন আছে এগুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে একটা কাজ করে ফেলা হয়েছে বাংলাদেশ থেকেই প্রথমবারের মতো।’
বাংলাদেশে পাওয়া স্ট্রেইন বিষয়ে ড. সমীর সাহা বলেন, ’বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত হাজার হাজার সিকুয়েন্সিং করার পরেও কিন্তু এগুলোর একটার সঙ্গে আরেকটার যে খুব বেশি প্রার্থক্য আছে তা কিন্তু আমরা বলতে পারিনি। কিন্তু এই সিকুয়েন্সিংগুলো করা হচ্ছে এটা চিন্তা করেই যে সময়ের সাথে সাথে যাতে আরও বিস্তারিত বোঝা যায়। চায়না থেকে শুরু হওয়ার পরে আমরা এক একটা স্ট্রেইনে যখন পরিবর্তন দেখি সেটা কিন্তু বছরের পর বছর যায়। আমরা এখন করতে থাকবো এবং প্রতিনিয়ত পরিবর্তন দেখতে থাকবো যে বাংলাদেশে সুনির্দিষ্টভাবে কী ধরণের পরিবর্তন হচ্ছে। একইসঙ্গে আমরা তুলনাও করতে পারবো। আজকেই আমরা একটি গ্রুপের সঙ্গে কথা বলছিলাম যে কোন ভ্যাকসিনটা কী দিয়ে তৈরি হচ্ছে এগুলো নিয়েও আমরা কাজ করছি। যাতে করে আমরা তুলনামূলক পরিস্থিতি বুঝতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে সব সিকুয়েন্স জমা পড়েছে তার মধ্যে এমন কিছু লক্ষণীয় নেই যা আমাদের জন্য ম্যাটারস করে। কিন্তু আমাদের কিছু পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগুতে চাচ্ছি। হাজার হাজার না, সেইক্ষেত্রে আমরা যদি শতের কাছেও করতে পারি তাহলে যেনো আমরা কিছু বুঝতে পারি যে আদৌ কিছু হচ্ছে কি না। যেমন আমাদের এখানে কিন্তু অনেক উপসর্গহীন কেইস আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই কেইসগুলোকেও যদি আমরা ধরতে পারি তখন হয়তো আমরা বুঝতে পারবো আদৌ কোনো প্রার্থক্য আছে নাকি এটা আমাদের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতার কোনো ব্যাপার আছে। এ কারণে আমরা শুধু সিকুয়েন্সিং না, ক্লিনিকাল সাইডটাকেও আমরা যুক্ত করতে চাচ্ছি। আর এটা নিয়ে আমরা ক্লিনিশিয়ানদের সঙ্গেও কথা বলছি, কাজ করার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে ভ্যারাইটিগুলোকে বের করে বিভিন্ন জায়গা থেকে তারপরে আমরা সিকুয়েন্সিংয়ে যাব। যাতে করে আমরা নতুনভাবে কিছু তথ্য জানাতে পারি, নতুন কিছু বলতে পারি। সেটাতে একটু সময় লাগবে।’
ড. সমীর সাহা বলেন, ‘সারা পৃথিবীতেই কিন্তু জিনোম সিকুয়েন্সিংয়ের কাজ হচ্ছে। বাংলাদেশে এর আগে হয়নি তবে আমরা সেটা করেছি। কিন্তু এই কাজের এখানেই শেষ না। আমরা ভবিষ্যতেও কিন্তু এই কাজ করে যাবো। ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি আমরা বুঝতে পারবো এই জিনোম সিকুয়েন্সিংয়ের কারণে। আমরা জানি যে এগুলোতে কিছু মিউটেশন হয় যা আমরা দেখে বের করতে পারবো। সেই মিউটেশনে কোনো প্রার্থক্য আছে নাকি নাই তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। সময়ের সাথে সাথে আরও মিউটেশন যখন হবে তখন তা আমরা দেখতে পাবো। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি মিউটেশন আছে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা এমন স্পেসিফিক কিছু পাইনি যাতে করে আমরা সেই মিউটেশন দেখে বলতে পারি যে একদমই পরিবর্তিত কিছু হয়ে গেছে। আরও যেটা আমরা করতে পারবো আশা করছি, সেটা হলো আমরা সময়ের সাথে সাথে মিউটেশন দেখে দেখে এই গতিপ্রকৃতির যদি কোনো পরিবর্তন হয় তবে সেটা বলতে পারবো। আমাদের যেটা সুবিধা তা হলো এমনটা যখন আমরা করতে পারবো তখন আমাদের স্ট্রেইনগুলো দেখে আমাদের দেশে কী হচ্ছে তা নিয়ে কথা বলতে পারবো। পরে আবার ভ্যাকসিন নিয়ে যখন কথা আসবে তখন সেটা নিয়েও কথা বলা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘মূলত যারা ভ্যাকসিন তৈরি করছেন তারা কিন্তু সিকুয়েন্সিংয়ের ওপরে নির্ভর করেই অনেক কিছু করে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে আমাদের সিকুয়েন্সিংয়ের জন্য আলাদাভাবে করার প্রয়োজন নেই। যেমন আমাদের স্ট্রেইনটা যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে। মূলত কোন কোন দেশে এই একই রকমের স্ট্রেইন দেখা গেছে সেটাও আমরা বুঝতে পারবো। একই সঙ্গে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাও বোঝা যাবে। অর্থাৎ আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কোন ভ্যাকসিনটা পারফেক্ট হবে সেটা বুঝতে পারবো। আবার এই স্ট্রেইনগুলোও কিন্তু একসময় পরিবর্তন হতে পারে। তখন আমরা বলতে পারবো যে আমাদের কাছে ভ্যাকসিন যা আসবে তার কার্যকারিতা নিয়ে।’
ভ্যাকসিন বিষয়ে ড. সমীর সাহা বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিশ্বের নানা জায়গায় প্রায় ১০০-এর মতো ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন প্রকারে বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু কাজ হচ্ছে। এদের মধ্যে আবার ১০টার মতো ভ্যাকসিন ট্রায়ালে আছে। এদের মধ্যে কোনটা আমাদের দেশে আসবে বা কবে আসবে তা আমরা জানি না এখনো। কিন্তু আমরা যদি বেশ কিছু সিকুয়েন্সিং করতে পারি তবে কোনো একটা ভ্যাকসিন যদি এমন হয় যেটা আমাদের এখানে কাজ করবে না তখন আমরা সঙ্গে সঙ্গেই বলতে পারবো যে এটা আমাদের এখানে কার্যকর না।’
বাংলাদেশেই জিনোম সিকুয়েন্স নিয়ে এখন কাজ করা হচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যৎ দিনগুলিতে আমরা কী কী উপকার পেতে পারি এমন প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘অন্যান্য ভাইরাসের সঙ্গে কোভিড-১৯ ভাইরাসের কী কী মিল আছে বা প্রার্থক্য আছে তা জিনোম সিকুয়েন্সিংয়ের কারণে বোঝা যায়। অন্যান্য দেশের ভাইরাসের সঙ্গে কী প্রার্থক্য আছে তা জানতে পারি। এর কারণে আমরা বুঝতে পারবো আমাদের দেশে কত ধরনের স্ট্রেইন আছে এই ভাইরাসের। এর উপরে ভিত্তি করে এই জিনোম সিকুয়েন্সিংয়ের কারণে আমরা ভ্যাকসিনেশনের কার্যকারিতা নিয়েও বুঝতে পারবো।’
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী সদস্য ডা. মোশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘জিনোম সিকুয়েন্সিং প্রক্রিয়াকে সহজ কথায় বলা যায় জিনের গঠন চিহ্নিত করা। একটি ভাইরাসের মধ্যে জিন কীভাবে সাজানো রয়েছে, সেই তথ্যই হলো জিনোম সিকুয়েন্স। বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই এই জিনোম সিকুয়েন্সিংয়ের কাজ হচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে কিভাবে এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা যায় তা বুঝতে সিকুয়েন্স সহায়তা করবে। একই সঙ্গে কোন ধরণের ভ্যাকসিন এই রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশে কার্যকর হতে পারে সেটি বুঝতেও সাহায্য করবে।’
সেটি শনাক্ত করতে পারলেই বোঝা সম্ভব হয়, কিভাবে একটি ভাইরাস বেঁচে থাকে কিংবা কিভাবে সংক্রামক হয়ে মানুষ বা অন্য কোনো পোষকের শরীরে বেঁচে থাকে।
একইভাবে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স জানা সম্ভব হলে এর উপস্থিতি নির্ণয়ে কিট তৈরি এবং প্রতিষেধক উৎপাদন ও উৎস সম্পর্কে তথ্য জানা সম্ভব হবে। অর্থাৎ এর মাধ্যমে করোনাভাইরাসের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় সহজ হবে। ফলে লক্ষণ ও উপসর্গ বোঝা সহজ হবে, রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে এবং ওষুধ তৈরির গবেষণাও সহজ হবে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে করোনাভাইরাসকে মোকাবিলা করা সহজতর হবে।
চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে জিনোম সিকুয়েন্স করা হয়েছে। ১৭ মে আর্ন্তজাতিক জিন ডাটা ব্যাংকে (জিআইএসএআইডি) করোনার পাঁচটি জিনোম সিকোয়েন্স জমা দেয় বাংলাদেশের ডিএনএ সল্যুশন। এতে তাদের সহায়তা করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডিআরআইসিএম এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল। ডিএনএ সল্যুশন লিমিটেড তাদের অ্যামপ্লিকন বেসড নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং সিস্টেমের মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর পাঁচটি ভাইরাসের পুরো জিনোম সিকোয়েন্সিং উম্মোচন করে।
এর পরে ১৯ মে দেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (এনআইবি) জিনোম সিকুয়েন্স করে স্যাঙ্গার পদ্ধতিতে।
প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা স্যাঙ্গার (Sanger)পদ্ধতিতে জিনোম সিকুয়েন্স নির্ণয় করেছি। এই পদ্ধতিতে নির্ণয় করা জিনোম সিকুয়েন্স প্রায় শতভাগ নির্ভুল হয়ে থাকে। তাই এটি গোল্ড স্টান্ডার্ড পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত। এখন পর্যন্ত একটি নমুনার জিনোম সিকুয়েন্স সম্পন্ন করা হয়েছে এবং আরও সাতটি নমুনার জিনোম সিকুয়েন্স নির্ণয়ের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ’কোভিড-১৯ মহামারির কার্যকর মোকাবিলার অংশ হিসেবে আমাদের দেশে এ সংক্রান্ত গবেষণা, ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স নির্ণয় করা খুবই জরুরি। এ প্রয়োজনীয়তাকে সামনে রেখেই এনআইবি করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স নির্ণয়ে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এনআইবির সিকুয়েন্স করা জিনোম যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন এবং ইতালি এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এনআইবিতে প্রাপ্ত সিকুয়েন্সে কিছু পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে এবং অধিকতর গবেষণার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে।’
এছাড়া কম খরচে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণে পিসিআর কিট উদ্ভাবনে এনআইবি’র গবেষকদল কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
জিনোম সিকুয়েন্স কী?
জিনোম সিকুয়েন্সিং প্রক্রিয়াকে সহজ কথায় বলা যায় জিনের গঠন চিহ্নিত করা। একটি ভাইরাসের মধ্যে জিন কীভাবে সাজানো রয়েছে, সেই তথ্যই হলো জিনোম সিকুয়েন্স। সেটি শনাক্ত করতে পারলেই বোঝা সম্ভব হয়, কিভাবে একটি ভাইরাস কিভাবে বেঁচে থাকে কিংবা কিভাবে সংক্রামক হয়ে মানুষ বা অন্য কোনো পোষকের শরীরে বেঁচে থাকে।
একইভাবে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স জানা সম্ভব হলে এর উপস্থিতি নির্ণয়ে কিট তৈরি এবং প্রতিষেধক উৎপাদন ও উৎস সম্পর্কে তথ্য জানা সম্ভব হবে। অর্থাৎ এর মাধ্যমে করোনাভাইরাসের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় সহজ হবে। ফলে লক্ষণ ও উপসর্গ বোঝা সহজ হবে, রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে এবং ওষুধ তৈরির গবেষণাও সহজ হবে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে করোনাভাইরাসকে মোকাবিলা করা সহজতর হবে।
অন্য অনেক ভাইরাসের চেয়ে করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে অবশ্য বিষয়টি একটু ভিন্ন। কারণ বিভিন্ন দেশ থেকে করোনাভাইরাসের যে জিনোম সিকুয়েন্সগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোর একটি আরেকটির সঙ্গে মিলছে না। গবেষকরা বলছেন, বারবার মিউটেশন ঘটছে এই ভাইরাসের। ফলে অঞ্চলভেদে বদলে যাচ্ছে এর গতিপ্রকৃতি। তারপরও এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এর জিনোম সিকুয়েন্স বিশ্লেষণের বিকল্প নেই। কারণ বিভিন্ন এলাকার করোনায় আক্রান্তদের ভাইরাল স্ট্রেনের পাশাপাশি ওই এলাকায় সংক্রমণের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করার মাধ্যমেই জানা সম্ভব, এই ভাইরাসের কোন ধরনের স্ট্রেন কতটা শক্তিশালী। আবার মিউটেশনের মাধ্যমে জিনোম সিকুয়েন্সে বদল এলেও একটা পর্যায়ে গিয়ে অন্যান্য ভাইরাসের মতো করোনাভাইরাসও আর জিনোম সিকুয়েন্স বদলাতে পারবে না। ওই সময় থেকে সে দুর্বল হতে থাকবে। এই প্রক্রিয়াগুলো চিহ্নিত করতেও জিনোম সিকুয়েন্স বিশ্লেষণের বিকল্প নেই।