৫ প্রতিষ্ঠানের জমি উদ্ধারে সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ চায় এলাকাবাসী
২২ জুলাই ২০২০ ১৬:২৭
ঢাকা: কয়েক যুগ ধরে বেদখলে রয়েছে স্কুল, মাদরাসা, শিশুসদনসহ (এতিমখানা) পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই একর জমি। কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ওই জমি উদ্ধারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মুসল্লিসহ এলাকাবাসী দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম করলেও কাজ হয়নি। এমতাবস্থায় ওই জমি উদ্ধারে সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ চেয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
বুধবার (২২ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বরাবর লেখা এক আবেদনে এই হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়। আবেদনে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্কুল জামে মসজিদ, এতিমখানা ও ফোরকানিয়া মাদরাসার জমি উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, ওই ৫টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মোট চার একর ৬০ শতাংশ জমি রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই একর জমি আব্দুর রউফ সরকার জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মাঝে-মধ্যে ওই জমি ফেরত দেওয়ার দাবি জানালেও কাজ হয়নি। বরং রউফ পুত্র মিজান সরকার নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এতে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। গত ৮ জুলাই হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে।
আব্দুর রউফ সরকারকে রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়, ওই ৫টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই একর জমি রউফ সরকার ও তার পুত্ররা জবর দখল করে রেখেছে। আব্দুর রউফ সরকারের পিতা ইব্রাহিম সরকার ইবুও চিহ্নিত রাজাকার ছিলেন। একাত্তরে অনেক মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা ও নির্যাতনের পেছনে তার ভূমিকা ছিল। যে কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সে মারা যায়। এর প্রতিশোধ হিসেবে রউফ সরকার অনেকের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালায়। অনেকের সম্পদ দখল করে নেয়। দেশ স্বাধীন হলেও রউফ সরকার ও তার পুত্র মিজান সরকারের প্রভাব এতটুকু কমেনি। এই প্রভাবের জোরে শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমিও দখলে নিয়ে নেয়। পেশি শক্তির কারণে এতদিন মুখ খুলতে পারেনি এলাকাবাসী।