মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বুধবার (২২ জুলাই) সকাল ৯টায় ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মার পানি ৭.০৫ মিটার উচ্চতায় ছিল। যা বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে পানি। পদ্মার পানি আরও বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপক কুমার রায় জানান, জেলায় ১৬টি ইউনিয়নের ১০৪ টি গ্রাম প্লাবিত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৫১। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে ৩৩টি। ইতোমধ্যে ১০৮টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছে। এ পর্যন্ত ১৪৬ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার ৯০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত লৌহজং উপজেলা। এখানে ৯টি ইউনিয়নের ৪৬ গ্রাম প্লাবিত। ১২ হাজার ৪০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। এ পর্যন্ত ৬৬ মেট্রিক টন চাল, এক হাজার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, টংগিবাড়ী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ২৯ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এখানে ৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া শ্রীনগর উপজেলার ২৯টি গ্রাম প্লাবিত। প্রায় ৫ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানে ১০ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা আছে।
মুন্সিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম জানান, আজ সকালে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। সর্বোচ্চ ৭.১৮ মিটার উচ্চতায় পদ্মার পানি প্রবাহিত হতে পারে। চলতি সপ্তাহে পানি আরও বাড়বে।