কোভিড-১৯: যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড
২২ জুলাই ২০২০ ২২:০৩
নভেল করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) একদিনে নতুন করে রেকর্ড এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খবর রয়টার্স।
এদিকে, জুনের ১০ তারিখের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা হাজার পেরোল। সব মিলে করোনাভাইরাসে দেশটিতে মৃতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় এক লাখ ৪২ হাজার জনে।
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় দফা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঢেউয়ে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়াসহ আরো কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। শুধুমাত্র ক্যালিফোর্নিয়াতেই মঙ্গলবার (২১ জুলাই) চার লাখের বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের সংখ্যায় এখন একমাত্র নিউইয়র্ক ক্যালিফোর্নিয়ার ওপরে আছে।
এখন পর্যন্ত নিউইয়র্কে ৩২ হাজার ২১৮ জন করোনায় মারা গেছেন। আর ক্যালিফোর্নিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় সাত হাজার ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, কীভাবে এ মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার, অঙ্গরাজ্য, গভর্নর এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে চরম মতবিরোধ চলছে।
পাশাপাশি, টেক্সাসে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী একটি কাউন্টিতে মহামারী এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে, সেটিকে ‘সুনামির’ সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। তারপরও টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট ওই কাউন্টির প্রশাসন জনগণকে ঘরে থাকতে বাধ্য করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন। দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে নিতে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই যথেষ্ট বলে মত তার।
অপরদিকে, জর্জিয়ার গভর্নর আটলান্টার মেয়রকে আটকাতে রীতিমত মামলা করে বসেছেন। আটলান্টার মেয়র স্থানীয় বাসিন্দাদের জনসম্মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছেন এবং এ আদেশ বাস্তবায়নের ব্যবস্থাও নিয়েছেন।
এছাড়াও, ফ্লোরিডার গভর্নর ও তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ‘দ্য স্টেট টিচারস ইউনিয়ন’। গভর্নর রাজ্যের স্কুল খুলে দিতে চাইছেন। অথচ সেখানে এখনও প্রতিদিনই ১০ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত সপ্তাহে ফ্লোরিডায় ভাইরাস পরীক্ষায় গড়ে ১৯ শতাংশের ফল পজিটিভ এসেছে।
প্রসঙ্গত, অনেক আমেরিকান মনে করেন, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বাধ্য করার মাধ্যমে তাদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। মাস্ক পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনাভাইরাস নির্মূল সম্ভব নয়। এতে শুধু ভাইরাস বিস্তারের গতি কমিয়ে দেওয়া যায়। যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতি শুরু হয়েছে। খোদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এমনটাই মনে করতেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনিও জনসম্মুখে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য হয়েছেন। তবে, মঙ্গলবার (২১ জুলাই) তিনি এও বলেছেন, যখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না শুধু তখনই মাস্ক পরুন।