পশুর হাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাবেচার নির্দেশ
২৩ জুলাই ২০২০ ১৯:৩৫
ঢাকা: আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্বল্প পরিসরে, যথাসম্ভব লোক সমাগম কমিয়ে বসানো কোরবানির পশুর হাটে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্বসহ অন্যান্য সরকারি নির্দেশনা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে ঈদ-উল-আজহা-২০২০ উপলক্ষে পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকল্পে অনলাইনে এক সভায় এই নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই কিভাবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য সরকারি নির্দেশনা মেনে পশুর হাট আয়োজনের ব্যাপারে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন।’
করোনার বিস্তার রোধে পশুর হাটে লোক সমাগম কমাতে কোন বিস্তীর্ণ এলাকায় পশুর হাট বসালে ভালো হবে, নাকি ছোট ছোট করে বিভিন্ন জায়গায় বসালে ভালো হবে সব দিক বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় প্রশাসনকে হাট আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে অনলাইনে বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে কোরবানির পশু কেনাবেচার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কোরবানির পশুর হাট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
পশুরহাটে কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে এ সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। করোনার বিস্তাররোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং সরকারের নির্দেশনা মেনে পশুর হাটে পশু বেচাকেনা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সবার প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। এসময় পশুর হাটে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও সররিরী নির্দেশনা মেনে আয়োজন করা হবে বলে সব সিটি করপোরেশনের মেয়র, বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন এবং তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
মো. তাজুল ইসলাম অনলাইন সভায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার আগাম শুভেচ্ছা জানান। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সব সিটি করপোরেশনের মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অংশ নেন।