কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, বিপাকে বানভাসিরা
২৩ জুলাই ২০২০ ২৩:৩৫
কুড়িগ্রাম: ক্রমান্বয়ে আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি। প্রায় একমাস ধরে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার প্রায় ৩ শতাধিক চরাঞ্চলের ৪ লাখ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। চলমান করোনা পরিস্থিতির মাঝে দীর্ঘ বন্যায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষেরা।
একদিকে বন্যায় কোনো কাজ জোটাতে পারছেন না, অন্যদিকে ঘরের খাবারও শেষ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চরাঞ্চলের বন্যাদুর্গতরা সরকারি-বেসরকারি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হলেও মিলছে না প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তাও। ইঞ্জিনের শব্দ শুনলেই মুহূর্তের মধ্যেই ত্রাণের আশায় ছুটে আসছে শত শত বন্যা দুর্গতদের নৌকা।
বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট ও দীর্ঘদিন পানির মধ্যে বসবাস করায় বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে। তবে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, জেলায় বন্যা কবলিতদের স্বাস্থ্য সেবার ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, জেলার ৯ উপজেলায় ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে জেলার ৯ উপজেলার ৪ লাখ ২৮ হাজার ৫২৫ পরিবারকে ১০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল দেওয়া হবে। এতে চরাঞ্চলের কোনো হতদরিদ্র পরিবার বাদ পড়বে না। এর আগে বন্যার্তদের মাঝে ১৯০ মেট্রিক টন চাল, জিআর ক্যাশ ৯ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭১ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।