মরিচের ‘ঝাল’ কমেছে, ঝাঁঝ বাড়ছে পেঁয়াজের
২৪ জুলাই ২০২০ ১৪:৩১
ঢাকা: বাজারে কাঁচামরিচের ‘ঝাল’ কিছুটা কমেছে। ২০০ টাকায় উঠে যাওয়া কাচামরিচ এখন সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবজির দামও অনেকটাই অপরিবর্তিত। চালের বাজারও প্রায় স্থির। তবে পাইকারি বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দেশি ও ভারতীয় উভয় পেঁয়াজই কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। মাংসের মধ্যে বেড়েছে ব্রয়লার ও দেশি মুরগির দাম। শুক্রবার (২৪ জুলাই) কারওয়ানবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কারওয়ানবাজারে গিয়ে দেখা গেল, বেগুন ৫০ টাকা , ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, পটল ৩৫ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা ও গাজর ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারের বিক্রেতা রাজীব সারাবাংলাকে বলেন, কোনো কোনো সবজির দাম গেল সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৫/৭ টাকা টাকা কমেছে, দুয়েকটির দাম বেড়েওছে। বেশিরভাগ সবজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কাঁচামরিচের দাম একটু কমেছে।
আর মহাখালীর বউবাজারে সবজির মধ্যে পেঁপে ৪০ টাকা, ঢেরশ ৪০ টাকা, বটবটি ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা ও করলা ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। খানিকটা বেড়ে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। এই বাজারে শশা ৪০ থেকে ৬০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১২০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর লেবু বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা হালি দরে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, রসুন ৮০ টাকা ও আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে, কারওয়ানবাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৪০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২৪ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বিক্রেতা সেলিম সারাবাংলাকে বলেন, কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা।
আরেক বিক্রেতা ময়না বলেন, কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এছাড়া পাইকারি বাজারে রসুন ৭০ থেকে ৯০ টাকা ও আদা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। রসুন ও আদার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
বাজারে চালের দামও প্রায় একই রয়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, আটাশ ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, নাজিরশাইল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা ও স্বর্ণা ৩৩ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি বাজারে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চালের দাম পড়ছে ২৫০০ টাকা, আটাশ ২০৫০ থেকে ২১৫০ টাকা, স্বর্ণা ১৮৫০ থেকে ১৯০০ টাকা ও নাজিরশাইল ২৩০০ থেকে ৩০০০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারের একটি দোকান মের্সাস হাজী ইসমাইল অ্যান্ড সন্সের মালিক জসিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, বাজারে চালের দাম আগের মতোই রয়েছে। তবে চালের বাজার কিছুটা কমতির দিকে।
এদিকে, কারওয়ানবাজারে গরু ৬০০ ও খাশি ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ২৯০ টাকা ও সাদা কর্ক ২৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা ও দেশি মুরগির দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।