২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩৮, শনাক্ত ২৫২০ জন
২৫ জুলাই ২০২০ ১৪:৫০
ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) দেশে কেড়ে নিয়েছে আরও ৩৮ জনের প্রাণ। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই হাজার ৮৭৪ জনে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৫২০ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ২১ হাজার ১৭৮ জনে।
শনিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
পিসিআর-ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নয় হাজার ৬১৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নতুন ও পুরনো নমুনা মিলে পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ৪৪৬টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ এক হাজার ৪৮০টি।
নতুন পরীক্ষা করার পর ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে দুই হাজার ৫২০ জনের শরীরে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ২১ হাজার ১৭৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৮ জনের। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন দুই হাজার ৮৭৪ জন।
সর্বশেষ মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ১১৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ২২ হাজার ৯০ জনে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ১২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩০ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫.২০ শতাংশ।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ ৪৩ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ৯৭ লাখের মতো রোগী।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার ২৫ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। দফায় দফায় সেই ছুটি ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি-বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে দেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।