ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম মনিটরিংয়ে ৬ কমিটি
২৫ জুলাই ২০২০ ১৭:৪৩
ঢাকা: বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম মনিটরিংয়ে ৬টি কমিটি গঠন করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। কমিটিগুলো উপজেলা, ইউনিয়নের মাঠপর্যায়ে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম মনিটরিং করবে। এসব কমিটিকে আগামী ২১ দিনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ জুলাই) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বন্যাকবলিত ৩১টি জেলা ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলবীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ১০ মেট্রিক টন চাল, ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা, ১ লাখ ২১ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট, গো-খাদ্য ক্রয়ের জন্য ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৭০ লাখ টাকা, ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং গৃহমঞ্জুরি বাবদ ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
‘আগস্টের প্রথম সপ্তাহের পর বন্যার পানি নেমে যাবে’
মাঠপর্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে বলেও জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে যেকোনো ব্যক্তি ত্রাণ সহায়তা চাইলে প্রয়োজন অনুযায়ী তাকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, চাঁদপুর, গাইবান্ধা, রাজবাড়ী, নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, জামালপুর এবং নওগাঁ জেলায় আগামী দুই দিন বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এছাড়া সমুদ্রে যদি জোয়ার থাকে তাহলে মধ্যাঞ্চলের পানি কমতে বিলম্বিত হতে পারে।’ তা না হলে আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই বাংলাদেশের সব এলাকা থেকে পানি নেমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।