ইন্টারনেট সেবার আওতায় আসবে দেশের ৭৭২টি দুর্গম এলাকা
২৫ জুলাই ২০২০ ১৮:১৭
ঢাকা: দেশের সর্বত্র তথ্য-প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে দুর্গম এলাকায় তথ্য প্রযুক্তি নেটওয়ার্ক স্থাপনে ‘কানেক্টেড বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। তিনি জানান, দেশের হাওর, দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল, দ্বীপ এলাকা, ছিটমহলসহ প্রত্যন্ত এলাকায় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।
শনিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর কেরানীগঞ্জের আট ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী পলক একথা জানান। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে।’
জানা যায়, দেশের দুই শতাধিক হাওর, বিল, প্রত্যন্ত এলাকা ও দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের প্রায় ৭৭২টি ইউনিয়ন এখনও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত। এরমধ্যে ২২৬টি ইউনিয়ন একেবারে দুর্গম স্থানে। আর ১১১টি ছিটমহলও এই তালিকায় রয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে এসব এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে ৮ হাজার ১০৫ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার কেবল প্রয়োজন হবে। এগুলো সংগ্রহ করতে সরকারের মোট খরচ হবে ১১০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এসব এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে পারলে প্রযুক্তি বৈষম্য কমে যাবে। ইন্টারনেট পৌঁছে গেলে ওইসব এলাকার শিক্ষার্থী ও তরুণেরা জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রোগ্রামিংয়ে এগিয়ে যাবে। দূরের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পড়াশোনার সুযোগ পাবে। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, অর্থনৈতিক উন্নতি হবে।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, আরও ৫ হাজার ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, কল্পনা নয় এটি বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাস এবং ঝড় বন্যাকবলিত অবস্থায় আমরা আমাদের দেশের ১৭ কোটি মানুষকে প্রতিটি সেবা আমরা ঘরে বসে দিতে পারছি। আর তা সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির কারণে।
বর্তমানে দেশে ১০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয়েছে, ৬০০ রকম সার্ভিস অনলাইনে এসেছে, ৪৩ হাজার ওয়েবসাইট হয়েছে, ই-নথি ব্যবহার হয়েছে। দশ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি টার্গেট সেট করেছি। সেটাকে পূরণ করতে হলে সবার কাছে এক্সেস টু ইন্টারনেট দিতে হবে। সে কাজই বাস্তবায়ন করে যাওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।