ঢাকা: রাজধানীর বারিধারায় ঘরোয়া পরিবেশ মার্কেট বাংলার কার্যালয়ে প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় (২৪ জুলাই) কেক কেটে মার্কেট বাংলার উদ্যোক্তারা দিনটি উদযাপন করেন। অর্গানিক ও সেইফ ফুড নিয়ে কাজ করা দেশের অন্যতম ই-কমার্স সাইট ‘মার্কেট বাংলা ডটকম’।
মার্কেট বাংলার প্রথম বর্ষপূর্তিতে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক ভিডিও বার্তায় ই-ক্যাব সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক অভিনেত্রী শমী কায়সার বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে মানুষের অনলাইনে কেনাকাটার প্রবনতা অনেক বেড়েছে। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের জন্য মানুষ এখন অনেকটাই অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল। প্রান্তিক চাষী, আদিবাসী কৃষক ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তরের নারী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য সংগ্রহ করে তা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেবার যে কাজ মার্কেট বাংলা করছে তা সত্যিই অসাধারণ।’
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান জুয়েল ঘোষণা দেন, এখন থেকে সারাদেশে অনলাইনে পণ্য সরবরাহ করবে অর্গানিক ও সেইফ ফুড নিয়ে কাজ করা দেশের অন্যতম ই-কমার্স সাইট মার্কেট বাংলা ডটকম। করোনাকালীন সময়ে মার্কেট বাংলা ডটকম কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পুরোদমে সেবাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অনলাইনে এক শুভেচ্ছা বার্তায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘মার্কেট বাংলা ডটকমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সঠিক পণ্যের মাধ্যমে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জন করা। শুরু থেকে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
মার্কেট বাংলা ডটকমের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষিবিদদের সহযোগিতা নিয়ে সারা দেশে অর্গানিক ও সেইফ ফুডের চাষাবাদ পদ্ধতির উন্নয়ন ও পরিসীমা বৃদ্ধি করা। অর্গানিক চাষে প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা করা। নারী কৃষি উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্গানিক চাষ পদ্ধতি অবলম্বনে উৎসাহিত করা।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে অনলাইনে অর্গানিক কৃষিজাত পণ্য সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী তরুণ উদ্যোক্তা হাবিবুর রহমান জুয়েলের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে ইকমার্স ওয়েবসাইট মার্কেট বাংলা ডটকম। শুরু থেকেই এটি বৈচিত্রময় পণ্য ও সেবার জন্য অল্প সময়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়। মার্কেট বাংলা ডটকম বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসী কৃষকসহ দেশের প্রান্তিক কৃষক ও নারী কৃষি উদ্যোক্তাদের পণ্য সংগ্রহ করে তা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়।