‘করোনাকালে নারীদের কষ্ট বেড়েছে’
২৭ জুলাই ২০২০ ০২:৩২
ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংকটের এই সময়ে নারীদের পরিশ্রম ও কষ্ট— দুই-ই বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মনোচিকিৎসক মেখলা সরকার। তিনি বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ এখন এক রকম ঘরবন্দি সময় কাটাচ্ছে। এই সময়ে আগের তুলনায় নারীদের কাজের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে তাদের আগের চেয়েও বেশি পরিশ্রম ও কষ্ট করতে হচ্ছে।
এমন পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকও। তিনি বলেন, করোনাকালে নারীর কাজ বাড়লেও মূল্যায়ন কমেছে। তাকে বাইরে যেমন কাজ করতে হচ্ছে, তেমনি কাজ করতে হচ্ছে ঘরেও।
রোববার (২৬ জুলাই) সেন্টার ফর সোস্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিসার্ফ) আয়োজিত ‘সারাবাংলা লাইটহাউজ’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শবনম আযীম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানটি সারাবাংলা ডটনেটের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
অনুষ্ঠানে মেখলা সরকার বলেন, ঘরবন্দির এই সময়ে মেয়েদের মানসিক চাপ বাড়ছে। অর্থনৈতিক পরিবেশের ওপর করোনার প্রভাব পড়ার করাণে মানুষ অনেকটা দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে কাছের মানুষদের সঙ্গেও তাদের স্বাভাবিক আচরণ নেই। এখন নারীদের বলা হয় মমতাময়ী, সর্বংসহা! এসব বলে বলে এই সময়ে তাদের দায়িত্ব বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চাকরি সামলানোর পর আবার ঘরও সামলাতে হচ্ছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ঘরে-বাইরে সবখানে নারীকে প্রতিবন্ধকতা সামাল দিয়ে চলতে হয়। এই সময়ে তার কাজ বাড়লেও মূল্যায়ন কমেছে। নারীর আলাদা করে কোন কর্মঘণ্টা নেই, সে বাইরে যেমন কাজ করছে, ঘরেও করছে। তারপর আবার সহিংসতার শিকার হচ্ছে।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক শবনম আযীম জানান, এই লকডাউনের সময় ২৭ হাজারেরও বেশি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে এক হাজার নারী প্রথমবারের মতো এই ঘটনার শিকার হয়েছেন। এছাড়াও এ বছর নারী ও শিশুর সঙ্গে ৫৩ হাজারেরও বেশি সহিংস ঘটনা ঘটেছে।
এই বিষয়ে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকে হতাশা বাড়ছে। হতাশা থেকে মানুষ মানবিক গুণাবলী হারিয়ে ফেলছে। মানুষ সহিংস হয়ে উঠছে।
করোনাকাল কাজী রিয়াজুল হক নারী নির্যাতন নারীর ওপর নির্যাতন নারীর পরিশ্রম মেখলা সরকার শবনম আযীম সারাবাংলা লাইট হাউজ