অনলাইনে গরুর হাট, জমজমাট বেচাকেনা
২৭ জুলাই ২০২০ ১১:০৩
ঢাকা: করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জমে উঠেছে অনলাইনের গরুর হাট ‘গরু চাই’। সত্যিকারের হাটের অভাব সম্পূর্ণ দূর করতে না পারলেও প্রচলিত হাটের বিভিন্ন অসুবিধা দূর করে নতুন বেশ কিছু সুবিধা যোগ করে এরই মধ্যে ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘গরু চাই’ অনলাইন হাট। প্রচলিত হাটের মাত্রাতিরিক্ত ভিড়, কাদা, নোংরা আরও বিভিন্ন অসুবিধার কারণে অনেকেই হাটে যেতে চান না। যেহেতু লেনদেন সম্পূর্ণ নগদ টাকায় হতো, তাই নিরাপত্তার একটা প্রশ্ন সবসময় থেকেই যেত।
তাছাড়া গরু কেনার পর তা বাড়িতে নিয়ে যাওয়াও ছিল এক ঝক্কির বিষয়। এই করোনার সময়ে কোরবানির পশুর হাটের মতো বিপুল জনসমাগমের জায়গায় যেতে অনেকেই নিরুৎসাহিত বোধ করছেন। ‘গরু চাই’ অনলাইন হাট এই অসুবিধাগুলো দূর করে ক্রেতাদের দিচ্ছে ঝামেলাহীন গরু কেনার এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
গরু চাই এর উদ্দেশ্য ক্রেতা ও ফার্মের মধ্যে একটি সেতু তৈরি করা, যেখানে একজন ক্রেতা হাটে না গিয়ে, ঘরে বসে একটি চমৎকার কোরবানির পশু কিনতে পারেন এবং একজন খামারি বা একটি ফার্ম, হাটে গরু নিয়ে আসার পরিশ্রম ও অর্থ খরচ না করে যেখানে আছেন সেখানে থেকেই তার গরুটি বিক্রি করতে পারে।
এই মুহূর্তে ‘গরু চাই’ এর সংগ্রহে রয়েছে ৬৪টি ফার্মের প্রায় ১ হাজার গরু। ‘গরু চাই’- এর এই বিশাল কর্মযজ্ঞে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে সুদক্ষ ফিল্ড টীম, ডাটা টীম, ব্যাকঅ্যান্ড, কাস্টমার সাপোর্ট এবং আরও অনেকেই। একজন গ্রাহক তার সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে পছন্দের দাম, রং, জাত বেছে, পরিবারের সবাইকে নিয়ে আরাম করে ঘরে বসে প্রচুর গরু দেখতে পারবেন, সেখান থেকে শর্টলিস্ট করতে পারবেন, কমপেয়ার করতে পারবেন, অ্যাডভান্স পেমেন্ট করে বুকিং দিতে পারবেন। সবশেষে একটি গরু পছন্দ করে কিনতে পারবেন।
দর দামের কোনো সুযোগ ‘গরু চাই‘-এ থাকছে না কারণ গরুর মূল্য ফার্ম কতৃক নির্ধারিত। সীমিত পরিসরে থাকছে স্লটার সুবিধা। ক্রেতার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়টিতেও আমরা এনেছি বেশ ভিন্নতা। গরু চাই-এর ওয়েবসাইট থেকে একজন ক্রেতা চাইলেই কার্ডের মাধ্যমে, অনলাইন ব্যাংক ট্রান্সফার, ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার অথবা ক্যাশ এর মাধ্যমে গরু কিনতে পারবেন। আর যোগাযোগের জন্য রয়েছে ফেসবুকের ম্যাসেজ অপসন। এছাড়াও আছে আমাদের কল সেন্টার যেখানে কল করে একজন ক্রেতা ‘গরু চাই‘ নিয়ে তার যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
এই বিষয়ে গরুর হাট ‘গরু চাই’-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ রেফায়েত চৌধুরীর বলেন, অনলাইন হাট জমে ওঠার প্রধান কারণ হলো করোনার কারণে মানুষের বদলে যাওয়া মনোভাব। প্রচুর মানুষ ‘গরু চাই’ থেকে গরু কিনছেন এবং আমাদের এই আধুনিক সার্ভিসের প্রশংসা করছেন, বিশেষ করে পেমেন্টের ফ্লেক্সিবিলিটি এবং ডেলিভারি সুবিধার। গুলশান নিকেতনে আমাদের করপোরেট অফিস এবং আমাদের চমৎকার একটি ওয়েবসাইট গ্রাহক প্রিয়তা পেতে এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। তিনি আমাদেরকে আরও বলেন, এই মুহূর্তে চাহিদা বেশি হলো মাঝারী ও ছোট গরুর। আর ফার্ম মালিকরা তাদের গরুর দাম কমাচ্ছে। তাই ‘গরু চাই’ ও তাদের লিস্টিং এ গরুর দাম কমাচ্ছে যা ক্রেতাদেরকে আরো “গরু চাই” থেকে গরু কেনার বিষয়ে উৎসাহিত করবে।