বাংলাদেশেকে ১০টি রেল ইঞ্জিন উপহার ভারতের
২৭ জুলাই ২০২০ ১৭:৫৯
ঢাকা: উপহার হিসেবে ভারতের কাছ থেকে ১০টি রেল ইঞ্জিন গ্রহণ করল বাংলাদেশ। লোকোমোটিভ ইঞ্জিনগুলো সম্প্রীতির নিদর্শন স্বরূপ বাংলাদেশকে উপহার দিল প্রতিবেশী দেশটি। সোমবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০টি ইঞ্জিন গ্রহণ করে বাংলাদেশ।
রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবুল মোমেন ও রেলমন্ত্রী নুরল ইসলাম সুজন ভিডিও কনফারেন্সে ভারতের রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে এই ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে ভারত।
এই ইঞ্জিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর, ভারতীয় রেল, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বক্তব্য দেন। পুরো প্রক্রিয়াটি ভার্চুয়ালি দুইদেশের মধ্যে সম্পন্ন হয়। আর ইঞ্জিন হস্তান্তর করা হয় দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে।
বাংলাদেশের রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘যাত্রীবাহী ট্রেনের চাহিদা বাড়ার কারণে নতুন অনেকগুলো কোচ আমদানি করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় পণ্য পরিবহনের জন্য ভারত থেকে লোকোমোটিভ আনার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হয়। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সরকারিভাবে ভারত সফরের সময় উভয়দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে লোকোমোটিভ সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া একই সালের অক্টোবরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যৌথ বিবৃতির (প্যারা ২৭) আলোকে ভারতীয় রেলওয়ে বাংলাদেশ রেলওয়েকে ১০টি লোকোমোটিভ উপহার হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে টেকনিক্যাল বিষয়ের শর্তাবলীসহ (রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালন) অন্যান্য বিষয়গুলো উভয় দেশের রেল কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে নির্ধারণ করে। এই লোকোমোটিভগুলো পাওয়ার ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিন চাহিদা কিছুটা কমবে এবং পুর্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে অধিক সংখ্যক যাত্রীবাহী এবং মালবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।
এ সময় সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শাসমুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৭২ শতাংশ লোকোমোটিভের উপযোগ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। এ সংকট কাটাতে প্রথমবারের মতো গতবছর ভারত থেকে ইঞ্জিন ভাড়া নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। ওই সময়ই রেলমন্ত্রী ভারত সফর করেন। তবে ভারত ভাড়া নয়, উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ১০টি লোকোমোটিভ দিতে আগ্রহ জানায়। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রায় ৫০টি লোকোমোটিভ কেনার একটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।