জয়ের জন্মদিনে ‘মুজিব থেকে সজীব’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
২৮ জুলাই ২০২০ ০২:৩৯
ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘মুজিব থেকে সজীব’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। স্মারকগ্রন্থটি জয়ীতা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
সোমবার (২৭ জুলাই) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান এমপি, গ্রন্থটির প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক ইয়াসিন কবীর জয় ও প্রচ্ছদশিল্পী শাহরিয়ার খান বর্ণ।
এ সময় অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন গ্রন্থটির সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
‘মুজিব থেকে সজীব’স্মারকগ্রন্থটির উপদেষ্টা সম্পাদক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পকার, যে ডিজিটাল বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে । চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অর্থাৎ দেশ-সমাজকে ডিজিটালাইজ করা, রোবটিক্স প্রযুক্তি প্রভৃতির প্রয়োগে যোগ দেবার জন্যেই জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। কারণ প্রথম তিন শিল্পবিপ্লবে আমরা যুক্ত হতে দেরি করেছি। প্রথম শিল্প বিপ্লব বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের প্রায় ১০০ বছর পর, দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব বিদ্যুৎ আবিষ্কারের বেশ কয়েক দশক পর এবং তৃতীয় শিল্প বিপ্লব কম্পিউটার আবিষ্কারেরও বেশ পরে আমরা সেটির সাথে যুক্ত হয়েছিলাম।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্লোগান যেখানে আমরা দিয়েছি ২০০৮ সালে, সেখানে ডিজিটাল ভারতের শ্লোগান এসেছে ২০১৪ সালে, এমনকি যুক্তরাজ্যও আমাদেরও কয়েক বছর পর ডিজিটাল দেশ রচনার শ্লোগান দিয়েছিল। অর্থাৎ প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লব আমাদের এই জনপদ পিছিয়ে থাকলেও, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্যপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতো আন্তর্জাতিকখ্যাতি সম্পন্ন প্রযুক্তিবিদ ও ভবিষ্যতদ্রষ্টার কাছ থেকে ধারণা আসার কারণে আমরা ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘২০০৮ সালে এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রযুক্তিবিদ জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই এসেছিল এবং তার ধারণা প্রসূত এই ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্লোগান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে যখন দেয়, তখন অনেকেই এটি নিয়ে হাস্যরস করেছিল, অনেকেই এটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কোনো স্বপ্নের কথা নয়, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ নাগরিক সেবাকে একেবারে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে আমরা আগের মতো চলাচল করতে পাচ্ছিনা, তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা করা যে কত প্রয়োজন ছিল, সেটি আমরা অনুধাবন করতে পারছি। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করছে, অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে, ই-ফাইলিং এর মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ নাগরিকসেবা একেবারে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, চার চারবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় এর ৫০তম জন্মদিনে আমি তাকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তিনি সব শিক্ষার্থীর স্বপ্নের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্সে মাস্টার্স করা, উচ্চশিক্ষিত। তার নেতৃত্ব ও সঠিক দিকনির্দেশনা বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন। তিনি আমাদের ভবিষ্যৎ নেতা। যেভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়ে তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, ভবিষ্যতেও তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
তথ্যমন্ত্রী এসময় ‘মুজিব থেকে সজীব’ গ্রন্থের প্রকাশক, সম্পাদক ও প্রচ্ছদ ও অঙ্গসজ্জাকারসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জয়ীতা প্রকাশনী দু’টি বই প্রকাশ করার মধ্যদিয়ে এই জন্মদিনকে আরও অর্থবহ করেছে বলে আমি মনে করি। উল্লেখ্য, ১১২ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থে দেড় শতাধিক সংবাদচিত্র স্থান পেয়েছে। জয়ীতা প্রকাশনীর ‘মুজিব থেকে সজীব’ বইটির প্রচ্ছদ ও অঙ্গপরিকল্পনা করেছেন শাহরিয়ার খান বর্ণ। গ্রন্থটির দাম রাখা হয়েছে ৬০০ টাকা। পাওয়া যাবে ২০-২১ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ জয়ীতা প্রকাশনীর কার্যালয়ে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান তার বক্তৃতায় সজীব ওয়াজেদের প্রতি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় যেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন, তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তেও একনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছেন। আমরা তার সাথে রয়েছি।
উল্লেখ্য, ‘মুজিব থেকে সজীব’ বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে জয়ীতা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত দ্বিতীয় গ্রন্থ।
এর আগে রোববার (২৬ জুলাই) জয়ীতা প্রকাশনীর ‘সজীব ওয়াজেদ জয় : সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। সেতুমন্ত্রীর বাসভবনে মোড়ক উন্মোচনের সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও গ্রন্থের প্রকাশক জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব এবং গ্রন্থের সম্পাদক আশরাফুল আলম খোকন ও গ্রন্থের পরিকল্পনাকারী ইয়াসিন কবীর জয় উপস্থিত ছিলেন।