Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বাস্থ্যখাতে বাইরের প্রভাব ও হস্তক্ষেপ বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


২৮ জুলাই ২০২০ ০২:৪৯

ঢাকা: আমাদের স্বাস্থ্যখাতে বাইরের ইন্টারফেয়ারেন্স (হস্তক্ষেপ), বাইরের ইনফ্লুয়েন্সটা (প্রভাব) অনেক বেশি। এটা কমাতে হবে। এটা কমানো হলে আমরা আরও ভালোভাবে ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারব। সোমবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে থাকা আটটি বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) শেষে বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যেখানে অন্যায় দেখছি, সেখানে আমরা ছাড় দিচ্ছি না, এটা আপনারাও দেখছেন। দু’টি প্রতিষ্ঠান অন্যায় করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের নজরে এসেছিল। আমরা সেখানে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলেছি। যিনি সরবরাহকারী তাকে যেমন সৎ হতে হবে ঠিক তেমনি যিনি ক্রেতা তারও সৎ হওয়া উচিত। আমরা যারা বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করি তাদেরও আমি বলবো ইন্টারফেয়ারটা কম করার জন্য। সমস্যা এক জায়গায় না, সব জায়গায় রয়েছে। সব জায়গা শুদ্ধ হওয়া দরকার।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি এখন অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যখাতে কোনো অনিয়ম হয় কিনা তার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সেবা মনিটরিং-এর জন্য নতুন কমিটি করা হয়েছে। কাজেই এখন যেখানেই অন্যায় হবে সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশের স্বাস্থ্যখাতের অধিক সমালোচনার কারণে ভিন্ন কোনো মহল সুবিধা নিতে পারে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাত এখন আর সেই ভঙ্গুর অবস্থায় নেই। কিন্তু সারাক্ষণ এই খাতকে বেশি সমালোচিত করলে মানুষ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আস্থা হারাবে এবং চিকিৎসার জন্য সামান্য কিছু হলেই বিদেশমূখী হবে। এতে অন্যান্য দেশের স্বাস্থ্যখাত লাভবান হবে। আর আমাদের স্বাস্থ্যখাত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অথচ আমাদের দেশে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা এখন বিদ্যমান রয়েছে।

স্বাস্থ্যখাতের সমালোচনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতের ভালো অর্জনগুলোও প্রচারের অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা হাসপাতাল করা হয়েছে। ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে গেছে। দেশে এর মধ্যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। নিরাপদ মাতৃত্ব, শহর-গ্রাম সর্বোত্র টিকাদান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দেশের স্বাস্থ্য সেবার মান এখন উন্নত বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের মর্যাদাশীল পুরস্কার ভ্যাকসিন হিরো, সাউথ সাউথ, এমডিজি গোল অর্জনসহ বহু সংখ্যক পুরস্কার বয়ে এনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। বর্তমানে দেশের প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৮ বিভাগে ৮টি ক্যান্সার হাসপাতাল করা হচ্ছে। ১০ হাজার চিকিৎসক, ১৫ হাজার নার্সসহ পর্যাপ্ত জনবল প্রস্তুত করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান-এর সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট ৮টি বিভাগের প্রধানগণসহ আরও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি সম্পাদনকৃত বিভাগগুলি হচ্ছে-স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কেন্দ্রীয় ঔষাধাগার, নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, নিমিউ এর টেকনিক্যাল ম্যানেজার, ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ওয়ার্কশপ ও এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর