‘কোভিড-১৯: দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সংকট’
২৮ জুলাই ২০২০ ১৫:১১
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ কে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সংকট বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস।
জেনেভা থেকে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে সোমবার (২৭ জুলাই) এ কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী মহামারি পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য চলতি সপ্তাহে ডব্লিউএইচও’র জরুরি অবস্থা মোকাবিলা কমিটির বৈঠকও আহ্বান করবেন ডিজি।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির আগে ডব্লিউএইচও মোট পাঁচবার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা জারি করে। এর দুইটি ইবোলার প্রাদুর্ভাব নিয়ে এবং জিকা, পোলিও ও সোয়াইন ফ্লু নিয়ে একবার।
ব্রিফিংয়ে টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস বলেন, ৩০ জানুয়ারি যখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়, তখনও চীনের বাইরে কোনো মৃত্যু ছিল না এবং শনাক্ত হওয়া রোগী ছিল একশরও কম। কোভিড-১৯ বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। মানুষ, সম্প্রদায় ও বিভিন্ন দেশকে এই মহামারি যেমন কাছাকাছি এনেছে, তেমনি আবার বিচ্ছিন্নও করেছে।
ডব্লিউএইচও বলেছে, সংক্রমণ প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদে ভ্রমণ বিধিনিষেধ বহাল রাখা কার্যকর পন্থা নয়। ভাইরাসের বিস্তৃতি ঠেকাতে বিশ্বের দেশগুলোকে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরার নির্দেশনার মতো ‘প্রমাণিত কৌশল’ অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে ডব্লিউএইচও’র জরুরি কর্মসূচির পরিচালক মাইক রায়ান বলেন, খুব বেশি দিন ধরে সীমান্ত বন্ধ করে রাখা যে কোনো দেশের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। অর্থনীতি সচল করতে হবে, মানুষকে কাজ করতে দিতে হবে, ব্যবসা বাণিজ্য খুলে দিতে হবে।
পাশাপাশি, যেসব দেশে ফের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাবে, সেখানে আবার লকডাউন দেওয়া জরুরি হয়ে পড়বে বলে স্বীকার করে নিলেও ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা এখন থেকে যতটা সম্ভব কম সময়ের জন্য এবং সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে লকডাউন সীমিত রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়াও, ভাইরাস সম্পর্কে আমরা যত জানবো, ততই আমরা এটিকে নিয়ন্ত্রণে আরও দক্ষ হয়ে উঠবো বলে জানিয়েছেন মাইক রায়ান।