Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পে অটোমোবাইল কোম্পানির পিপিই, দাম দ্বিগুণ


২৮ জুলাই ২০২০ ১৫:২২

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে অনুমোদন পায় ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স আন্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ইআরপিপি)’ প্রকল্প। এক হাজার ১২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার এই প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া ৮৫০ কোটি টাকা ঋণ। আর এই প্রকল্পেই কি না ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহের কাজ পেয়েছে একটি অটোমোবাইল কোম্পানি! তিন হাজার ৯০০ টাকা দরে পিপিই সরবরাহ করার কথা এই কোম্পানির। অথচ বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের পিপিই পাওয়া যায় এর অর্ধেক দামেই। অর্থাৎ বাজারমূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ দামে পিপিই সরবরাহ করার কথা বলেই কাজ পেয়েছে জাদিদ অটোমোবাইল নামের প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, কোভিড-১৯ দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানটিকে মে মাসে ৫০ হাজার পিস কাভারঅল পিপিই, ৫০ হাজার পিস কেএন-৯৫ মাস্ক, ৫০ হাজার পিস এন-৯৫ মাস্ক ও এক লাখ পিস হ্যান্ড গ্লাভস সরবরাহ করার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই মে মাসে ৩১ কোটি ৯০ লাখ কাজ বরাদ্দ হয় জাদিদ অটোমোবাইলের নামে। তবে সোমবার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত একটি পণ্যও সরবরাহ করেনি এই কোম্পানি। আর এই কোম্পানির অস্তিত্ব কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে এর খোঁজ পাওয়া যায়নি।  প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পর্যন্ত জাদিদ অটোমোবাইল সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারছেন না।

বিজ্ঞাপন

অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯ মে ইআরপিপি প্রকল্পের আওতায় জাদিদ অটোমোবাইল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। এই কোম্পানির পক্ষে চুক্তিতে সই করেন কাজী শামীমুজ্জামান কাঞ্চন নামে একজন ব্যক্তি। চুক্তিনামায় এর ঠিকানা দেখানো হয় মিরপুরের পল্লবীতে।

অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে প্রতিবেদকের কাছে চুক্তিনামার একটি নথি আসে। বেশকিছু অসঙ্গতি দেখা যায় এই চুক্তিনামায়। এতে জাদিদ অটোমোবাইলসের ৫০ হাজার পিস কাভারঅল পিপিই সরবরাহের কথা থাকলেও সেটি কোন লেভেলের হবে, তা উল্লেখ নেই। অথচ স্বাস্থ্য খাতের সব প্রকল্পেরই পিপিই সরবরাহের ক্ষেত্রে মানের বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ থাকে। এদিকে, ১৯ মে চুক্তি হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে যাবতীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করার কথা উল্লেখ করা হয় চুক্তিতে। কিন্তু ২০ মে থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ৮৩ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনোকিছুই সরবরাহ করা হয়নি বলে জানা গেছে।

কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের ইআরপিপি প্রকল্প

  • পিপিই সরবরাহের কাজ পেয়েছে অটোমোবাইল কোম্পানি জাদিদ অটোমোবাইল
  • ঠিকানা দেওয়া থাকলেও সেখানে কোনো অফিস পাওয়া যায়নি
  • বেসরকারিভাবে বিক্রির জন্য আমদানি করা পিপিই সরবরাহ করার কথা সরকারি প্রকল্পে
  • আমদানি করা পিপিই’র জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন নেই
  • ২ হাজার টাকা দামের পিপিই সরবরাহ করছে ৩ হাজার ৯শ টাকায়
  • ৪৫ দিনে সরবাহের কথা থাকলেও ৮৩ দিনেও সরবরাহ করা হয়নি একটি পণ্যও

বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের বাইরে থেকে কোনো সুরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি করতে হলে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনাপত্তিপত্র নেওয়ার বিধান আছে। তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ১৯ মে পর্যন্ত জাদিদ অটোমোবাইলস নামের কোনো প্রতিষ্ঠানের বিদেশ থেকে কোনো সুরক্ষা সরঞ্জাম আমদানির বিষয়ে এমন কোনো অনাপত্তিপত্র নেয়নি। অর্থাৎ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমতি না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাংকের জরুরি প্রকল্পের সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করার অনুমতি পেয়েছে।

গত ১৪ জুলাই এই প্রতিবেদক চুক্তিনামায় উল্লেখিত ঠিকানায় সরেজমিনে গিয়ে দেখেন, সেখানে জাদিদ অটোমোবাইলস নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারাও এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম শোনেননি। আর চুক্তিনামার ঠিকানায় গিয়ে ওয়েস্টার্ট ডিজাইনারস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়। এই কোম্পানির অফিসের বাইরে ‘জাদিদ অটোমোবাইলস’ লেখা একটি স্টিকার দেখা গেলেও এর উপস্থিতি সম্পর্কে সেখানকার কেউ কিছু বলতে পারেননি। জাদিদের মালিক কাজী শামীমুজ্জামান কাঞ্চনের নাম বলা হলে তাকেও কেউ চিনতে পারেননি।

জাদিদ অটোমোবাইল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ওই দিন শামীমুজ্জামান কাঞ্চনের সঙ্গে এই প্রতিবেদক কথা বলেন একজন হাসপাতাল কর্মকর্তা পরিচয়ে। তাকে বলা হয়, হাসপাতালের জন্য পিপিই লাগবে। এসময় কাঞ্চন জানান, তারা পিপিই আমদানি করে থাকেন। সরকারি ভ্যাট-ট্যাক্সসহ লেভেল-৩ পিপিই’র তারা ৩ হাজার ৯০০ টাকা রাখতে পারবেন। পরে সুবিধামতো সময়ে কথা বলতে চাইলে সেদিন রাতেই ফোন দিতে বলেন তিনি।

আমদানি করা পিপিই’তে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্র বলছে, তাদের অনাপত্তিপত্র থাকলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কোনো ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়াই করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পণ্য বা সুরক্ষা সরঞ্জাম আমদানির সুবিধা রয়েছে। দেশে উৎপাদিত পণ্যের মান যাচাইয়ের জন্য আছে আলাদা কিছু নিয়ম। আর যদি কেউ বেসরকারিভাবে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে নিরাপত্তা সুরক্ষা সামগ্রী এনে থাকেন, তা সরকারিভাবে বিপণন করার কোনো সুযোগ নেই। অর্থাৎ ইআরপিপিসহ সরকারি কোনো প্রকল্পেই বাণিজ্যিক উদ্দেশে আমদানি করা পিপিই সরবরাহের সুযোগ নেই।

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ৪ জুন জাদিদ অটোমোবাইলস কিছু সুরক্ষা সরঞ্জাম আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটিতে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জুন পাঁচটি শর্তে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ৫০ হাজার পিস কেএন-৯৫ মাস্ক আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। একই দিন আরেকটি স্মারক নম্বরে আলাদাভাবে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার পিস থ্রিএম ৮২১০ এন-৯৫ মাস্ক আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হয়। পরদিন ১৮ জুন আরেক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাতটি শর্ত দিয়ে হংকংয়ের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কাভারঅল পিপিই আমদানির অনুমতি দেওয়া হয় জাদিদ অটোমোবাইলসকে। তবে এই শর্তের অন্যতম ছিল, আমদানি করা মালামাল কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা যাবে না।

১৪ জুলাই রাতেই শামীমুজ্জামান কাঞ্চনের সঙ্গে সারাবাংলা ডটনেটের প্রতিবেদক পরিচয় দিয়ে কথা বলা হয়। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে পাওয়া তথ্য সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাঞ্চন সারাবাংলাকে বলেন, জুন মাসের ২৪ বা ২৫ তারিখের দিকে জাদিদ অটোমোবাইলস অনুমোদন পেয়েছে। তবে অনুমোদন পাওয়া ফাইলে একটি বড় ভুল ছিল। সেটির সংশোধনের জন্য ফাইলটি টেবিলে টেবিলে ঘুরছে।

জাদিদ অটোমোবাইলসের ঠিকানায় কাউকে পাওয়া যায়নি— এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার অফিসে কাজ চলছে, বসার জায়গা নেই। তাই সেখানে বসি না। আমার আরও অফিস আছে।

পিপিই’র বাড়তি দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে শামীমুজ্জামান কাঞ্চন বলেন, ‘আসলে আমি একজন সরবরাহকারী। আমি সবকিছুই ইমপোর্ট করতে পারি। সব ধরনের সনদ আছে আমার কাছে। আমি বায়োসেফটি লেভেল-৪ মানের পিপিই কিনেছি। এটা একটু দামি।’ তিনি আরও বলেন, আমি আসলে এভাবে কথা না বলে সামনাসামনি কথা বলতে চাচ্ছি। টেলিফোনে এভাবে কথা বলা কি জরুরি? সামনাসামনি কথা বলাটা উত্তম হবে মনে হয়। এসময় তিনি মহাখালী ডিওএইচএসের আশপাশের কোথাও এই প্রতিবেদনকে দেখা করার অনুরোধ করেন।

রাজি না হয়ে পিপিই’র দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাঞ্চন বলেন, ‘আমার পিপিই’র সঙ্গে শু কভার আছে। সেটির দাম পড়েছে ৩০০ টাকা। আর অন্য কাভারঅলের দাম পড়েছে তিন হাজার ৩০০ টাকার মতো।  ভ্যাট ট্যাক্স সহ তিন হাজার ৬০০ টাকার মতো।’ সকালেই তিনি এই কাভারঅল পিপিই’র দাম ৩ হাজার ৯০০ টাকা বলেছিলেন— সে কথা স্মরণ করিয়ে দিলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন থাকার পরও ভ্যাট-ট্যাক্স লাগছে কেন— এমন প্রশ্নের জবাবেও স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি। শুধু বলতে থাকেন, তারা যেসব পণ্য আমদানি করছেন, সেগুলো মানসম্মত হওয়ায় আমদানি খরচ বেশি পড়ছে।

শামীমুজ্জামান কাঞ্চন দাবি করেন, ইআরপিপি প্রকল্পের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, সে চুক্তিতে উল্লেখ করা সরঞ্জামের ৭০ শতাংশই সরবরাহ করা হয়েছে। এগুলোর জন্য টাকা বুঝে পেয়েছেন কি না— জানতে চাইলে ফের সামনাসামনি দেখা করার অনুরোধ করেন তিনি। পরে বলেন, কাগজপত্রে কিছু ভুল রয়েছে। সংশোধন করার পর যোগাযোগ করবেন।

পরদিন ১৫ জুলাই সারাবাংলার পক্ষ থেকে আবারও শামীমুজ্জামান কাঞ্চনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইআরপিপি প্রকল্পের চুক্তিনামা অনুযায়ী তাদের পণ্যের দাম ও পণ্য সরবরাহ সম্পর্কে জানতে চাইলে কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি।

এর মধ্যে ১৪ জুলাই সারাবাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় ইআরপিপি প্রকল্পের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। জাদিদ অটোমোবাইলসের মতো একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান কিভাবে সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের দায়িত্ব পায়, জানতে চাই তার কাছে। তারা কতগুলো পিপিই সরবরাহ করেছে— জানতে চাওয়া হয় সেটাও। ডা. সাইফুল এসময় সারাবাংলাকে বলেন, আমি আগামীকাল আপনার সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু ১৪ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত মো. সাইফুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে দফায় দফায় কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এই প্রতিবেদক নিজের পরিচয় দিয়ে এসএমএস দিলেও কোনো উত্তর দেননি। সরাসরি তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করতে চাইলেও তিনি দেখা দেননি।

কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ শীর্ষক প্রকল্পের মান যাচাই করার জন্য ছয় সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. শাহনীলা ফেরদোসী। ইআরপিপি প্রকল্পে সরবরাহ করা কোনো পিপিই’র মান যাচাই করা হয়েছে কি না— জানতে চাইলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, পিপিই’র মান যাচাই করার জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়, সেখানে আমাদের কাছে এমন কোনো বিষয়ে আসেনি। এই কমিটি গঠনের বিষয়েই শুধু আমাদের মেইলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কমিটির সদস্য সচিব এ বিষয়ে আর কিছু জানাননি। ফলে এই কমিটির কার্যক্রম কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকে। ফলে এমন নামের (জাদিদ অটোমোবাইলস) কোনো প্রতিষ্ঠানের পিপিই সরবরাহের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। এগুলোর মান নিয়েও কিছু বলতে পারব না।

এদিকে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিতে প্রকল্প পরিচালকের নাম উল্লেখ না থাকায় এবং পিপিই কভারঅলের লেভেল উল্লেখ না থাকায় ৯ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি দেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান। চিঠিটি ১২ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে ইআরপিপি প্রকল্পের সহকারী পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলামের কাছে পাঠানো হয়। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২৭ জুলাই পর্যন্ত এই চিঠির বিষয়ে কোনো উত্তর জানানো হয়নি প্রকল্পের পক্ষ থেকে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ইআরপিপি প্রকল্পের পরিচালক ডা. কাজী শামীম হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। সোমবার (২৭ জুলাই) সরাসরি তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নতুন এসেছি। তাই এখন কোনো বিষয়ে কথা বলতে পারছি না।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে অনুমোদন পায় ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স আন্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ইআরপিপি)’ প্রকল্প। এক হাজার ১২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার এই প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া ৮৫০ কোটি টাকা ঋণ। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নানা অসঙ্গতি-অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এসব অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব থাকছে আগামীকাল বুধবার (২৯ জুলাই)।

ইআরপিপি ঋণ করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাংক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর