নাজিব রাজাকের ১২ বছর কারাদণ্ড
২৮ জুলাই ২০২০ ২০:২১
মালয়েশিয়ায় অর্থ কেলেঙ্কারির একটি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজাককে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে, তার ২১ কোটি রিঙ্গিত জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪১৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি।
কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক মোহাম্মদ নাজিম মোহাম্মদ গাজ্জালি মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) এই রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে, নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ সাত ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছিল বলে বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
অন্যদিকে, দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন নাজিব রাজাক। তিনি আদালতে বলেছিলেন, তার অর্থ উপদেষ্টারা তাকে ভুল বুঝিয়েছেন।
তবে, বিচারক তার রায়ে সবগুলো ধারাতেই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। মালয়েশিয়ার আইন অনুসারে, সাত ধারার প্রত্যেকেটিতে নাজিব রাজাকের ১৫ থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে। তার আইনজীবীরা সাজা ঘোষণা পেছানোর আবেদন করেছেন। আর নাজিব রাজাক বলেছেন, তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
পাশাপাশি, এই মামলাকে মালয়েশিয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং আইনের শাসনের জন্য একটি ‘পরীক্ষা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৯ সালে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ওয়ানএমডিবি নামে এই সার্বভৌম ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নাজিব। কিন্তু ২০১৫ সালে ব্যাংক ও বন্ড হোল্ডারদের পাওনা অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার পর ওই তহবিল নিয়ে প্রশ্ন শুরু হয়। তদন্তের পর জানা যায়, এই তহবিলের সাড়ে চারশ কোটি ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ওই তহবিলের ৪ কোটি ২০ লাখ রিংগিত (১ কোটি ডলার) নাজিবের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের ঘটনায় গতবছর ৩ এপ্রিল এ মামলার বিচার শুরু করে মালয়েশিয়ার আদালত। ২০১৮ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদের কাছে হেরে গিয়ে ক্ষমতা হারানো নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে আরো বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা এখনও বিচারাধীন।