Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিদায়ী অর্থবছরে রেকর্ড দেড় লাখ কোটি টাকা বাণিজ্য ঘাটতি


২৯ জুলাই ২০২০ ১২:২৩

ঢাকা: বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের অর্থনীতির প্রধান দুই সূচক আমদানি ব্যয় ও রফতানি আয় উভয়ই কমেছে। আগের বছরগুলোতে মাঝে মাঝে রফতানি আয় কমলেও বরাবরই বেড়েছে আমদানি ব্যয়। কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের (জুলাই-জুন) বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক হজার ৭৮৬ কো‌টি ১০ লাখ মার্কিন ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ ৫১ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা (১ ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-জুন সময়ের বৈদেশিক লেনদেনে চলতি হিসাবে ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট) এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় তিন হাজার ২৮৩ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় পাঁচ হাজার ৬৯ কোটি ডলার। ফলে অর্থবছর শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৮৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। ঘাটতির পরিমাণ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ২০২ কোটি ৬০ লাখ ডলার বা ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি। বিদায়ী অর্থবছরে আমদানি ব্যয় কমেছে ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। রফতানি আয় কমেছে ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ। তবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গেল অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকলেও গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে তা ঋণাত্মক হয়েছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, চীনের হুবেই প্রদেশে থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস বছরের শুরু থেকে ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বব্যাপী আঘাত হানে। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পুরো বিশ্ব। বন্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক কার্যক্রম। অচল হয়ে পড়ে বিশ্ব বাণিজ্য। এতে করে নেতিবাচক ধারায় থাকা দেশের রফতানি আয় গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে ব্যাপক হারে কমতে থাকে। এছাড়াও গত মার্চ-এপ্রিলেও রেমিট্যান্স আয়ও অনেক কমে যায়। এসব কারণে বড় বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সেই হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভাল। কিন্তু গত কয়েক বছর উদ্বৃত্তের ধারা অব্যাহত থাকলেও গেল অর্থবছরে ঋণাত্মক ধারায় চলে গেছে। অর্থবছর শেষেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে চলতি হিসাবে ৪৮৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার ঋণাত্মক হয়েছে। এটি আগের অর্থবছরে একই সময়ে ঋণাত্মক ছিল ৫১০ কোটি ২০ লাখ ডলার। চল‌তি অর্থবছ‌রের সা‌র্বিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে সামগ্রিক লেনদেনে বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৩৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারে। গত অর্থবছরের একই সময়ে সামগ্রিক লেনদেনে উদ্বৃত্ত ছিল ১৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

আমদানি ব্যয় বাণিজ্য ঘাটতি বাংলাদেশ ব্যাংক রফতানি আয় রেকর্ড

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর