যমুনার পানিতে ভেসে গেছে ৫ শতাধিক মাছ, ক্ষতি ২ কোটি টাকা
২৯ জুলাই ২০২০ ২১:১০
সিরাজগঞ্জ: যমুনার পানিতে সিরাজগঞ্জের নয় উপজেলার ৫ শতাধিক পুকুর ও দিঘির মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করছেন স্থানীয়রা। পানি বাড়লে আরও ২ শতাধিক পুকুর ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, শাহজাদপুর, কাজিপুর, উল্লাপাড়া, বেলকুচি, চৌহালী, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ ও সদর এলাকায় গত ১ মাসে বন্যার পানি বেড়ে গেছে। বন্যার পানি বাড়ার সঙ্গে চলনবিলসহ জেলার নিম্নাঞ্চলে বানিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা প্রায় ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে নেটের দাম বৃদ্ধি। পুকুরের মাছ রক্ষায় ব্যবহৃত নেটের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপদে পড়েছেন জেলার মৎস্যচাষীরা।
গত ১৫ দিন ধরে জেলার উপজেলাগুলোর বাজারে ১০০০ টাকার নেট বা জালের দাম বেড়ে ১৫০০- ১৮০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এতে মৎস্যচাষীরা আরও বিপদে পড়েছেন।
তাড়াশ উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামের মৎস্যচাষী আব্দুল মান্নান ও জুলমাত হোসেন জানান, ২ বছরের জন্য ৫টি পুকুর সাড়ে ৩ লাখ টাকায় ইজারা নেন। সেই পুকুরগুলোতে রুই, কাতলাসহ দেশীয় মাছ চাষ করেছেন। গত ১৫দিন ধরে করতোয়া নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ৩০ মিনিটের মধ্যে তার ৫টি পুকুর প্লাবিত হয়। এরমধ্যে ২টি পুকুর থেকে ৫ মণ মাছ ধরতে পেরেছেন। বাকি মাছ বানের পানিতে ভেসে গেছে। বন্যায় প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহেদ আলী বলেন, জেলায় ৪৮৯টি পুকুর ও ২০টি দিঘি প্লাবিত হয়েছে। যার আয়তন ১৫৭.৬৬ হেক্টর। মাছের পরিমাণ ১২০ মেট্রিক টন। পোনা ৮.৭ হাজার। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। পানি বাড়লে নতুন করে আরও পুকুর প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা আছে বলে জানান তিনি।