Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভারতের ৩ বস্তিতে করোনার ‘অ্যান্টিবডি সৃষ্টি’র প্রমাণ মিলেছে


২৯ জুলাই ২০২০ ২২:৩৮

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের তিন এলাকায় (চেম্বুর, মাতুঙ্গা ও দাহিসার) বস্তির অর্ধেকেরও বেশি অধিবাসীর দেহে নভেল করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়েছে। খবর বিবিসি।

এদিকে মুম্বাই শহর কর্তৃপক্ষ, সরকারি থিঙ্কট্যাঙ্ক নীতি আয়োগ ও টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের (টিআইএফআর) করা নতুন এক জরিপ থেকে এই দাবি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিবিসি জানিয়েছে, জুলাইয়ের শুরু থেকে এই তিনটি জনবহুল এলাকার ১৫ লাখ অধিবাসীর মধ্যে সাত হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। জরিপ পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষের বরাতে জানানো হয়েছে, ওই তিন বস্তির শতকরা ৫৭ ভাগ অধিবাসীই কোনো না কোনো সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।

অথচ, একই এলাকায় বস্তির বাইরে বসবাসরতদের মধ্যে শতকরা ১৬ ভাগ করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জরিপ থেকে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে টিআইএফআর’র গবেষক ড. উল্লাস এস কলথুর বলেছেন, যে তিনটি এলাকায় জরিপ চলেছে সেখানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় তারতম্য ছিল। এমনকি অধিবাসীদের বস্তি, একক বাড়ি ও হাউজিং কমপ্লেক্সেরও সংমিশ্রণ আছে।

জরিপ থেকে দেখা গেছে, মুম্বাইয়ের বস্তিগুলোতে ভাইরাসের বিস্তার ধারণার তুলনায় অনেক বেশি। এমন উচ্চ সংক্রমণ হারের পেছনে সেখানকার বাসিন্দাদের নিজেদের মধ্যে শৌচাগারসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাগাভাগির মতো বিষয়গুলো অংশত দায়ী বলে জরিপ জানাচ্ছে।

ভিড় কীভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে মূল ভূমিকা পালন করে এই জরিপের ফলাফল তা দেখাচ্ছে – বলেছেন টিআইএফআর’র গবেষক সন্দীপ জুনেজা।

বিজ্ঞাপন

পাশাপাশি, বস্তির অধিবাসীদের মধ্যে যারা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের বড় অংশই ছিল উপসর্গবিহীন। কারো কারোমৃদু উপসর্গ ছিল। আক্রান্তের অনুপাতে মৃত্যুর হারও ছিল অনেক কম।

এছাড়াও, তিন এলাকার বস্তি এবং বস্তির বাইরের পুরুষ অধিবাসীদের তুলনায় নারীদের মধ্যেই বেশি করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে আগামী আগস্টে চেম্বুর, মাতুঙ্গা ও দাহিসারে ফের জরিপ চালানো হবে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের সোয়া কোটি বাসিন্দার অর্ধেকেরও বেশি বিভিন্ন বস্তিতে বসবাস করেন। সর্বশেষ হিসাব অনুসারে এই শহরে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক লাখ ১০ হাজার পেরিয়ে গেছে, মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজার ১৮৭ জনের। তিনমাসের মধ্যে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন ৭১৭ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মুম্বাইয়ে। ইতোমধ্যেই, শহরটিতে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি হয়েছে কি না – এ প্রশ্নও সামনে আসছে।

এ ব্যাপারে ড. কলথুর বিবিসিকে জানিয়েছেন – ব্যাপারটা খুবই কৌতুহলোদ্দীপক। সংক্রমণ কমে যাওয়ার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। সামাজিক আচরণ থেকে শুরু করে শারীরবৃত্তীয় পার্থক্য, যে কোনো কিছুর কারণেই এমন হতে পারে।

অ্যান্টিবডি কোভিড-১৯ টপ নিউজ নভেল করোনাভাইরাস ভারত মুম্বাই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর