আজ পবিত্র হজ, পদে পদে নতুনত্ব
৩০ জুলাই ২০২০ ১২:৫৪
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ (নভেল করোনাভাইরাস) সংক্রমণের মুখে এবার পবিত্র হজ আয়োজিত হচ্ছে খুবই সীমিত পরিসরে। এছাড়াও, হজের প্রতিটি ধাপ নিরাপদ করতে নতুন নতুন প্রযুক্তি সংযোজিত হয়েছে। খবর ডন, ডয়েচেভেলে ও আরব নিউজ।
বিশ্বের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, এবারের হজের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। এমন হজ আগে কখনও দেখেনি বিশ্ব।
হাজীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য প্রতিটি পয়েন্টে বসানো হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার। অংশগ্রহণকারীদের সহজে ট্র্যাক করতে প্রত্যেককে ই-পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সকলের সেলফোন একটি অ্যাপসের অধীনে সংযুক্ত করে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মক্কায় প্রবেশের সঙ্গেসঙ্গেই সকল অংশগ্রহণকারীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি জিপিএস রিস্টব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই রিস্টব্যান্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের অবস্থান জানান দিবে। তাদের মধ্য থেকে, ২০ জন করে নিয়ে এক একটি গ্রুপ করা হয়েছে। হজের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা এই গ্রুপের ভিত্তিতেই করতে হবে।
ইহরামের কাপড়ে সিলভার ন্যানো টেকনোলজি যুক্ত করা হয়েছে। এটি কাপড়ের ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করবে এবং কাপড়কে পানি নিরোধক করবে।
এ ব্যাপারে আরব নিউজ জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হজের প্রতিটি ধাপেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
হজে প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিয়ে সৌদির হজ মন্ত্রণালয়ের মুখ্য পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমর আল মাদ্দাহ বলেছেন, হজপ্রক্রিয়া ভালভাবে শেষ করতে প্রযুক্তিই তাদের কালো ঘোড়া। কোভিড-১৯ সংক্রমণের কোনো ঘটনা এবং মৃত্যু ছাড়াই যেন হজ শেষ হয় তা নিশ্চিত করতে সকল ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, হজের জন্য মনোনীত প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। হজ শুরুর আগে ও পরে দুই ধাপে সবার জন্য কোয়ারেনটাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
হজের পুরো সময়ে স্বল্প সংখ্যক হাজীকে বারবার করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। হজ চলাকালে কেউ আক্রান্ত হলে সঙ্গেসঙ্গে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে, জমজমের পবিত্র পানি পানেও থাকছে নিয়মের কঠোরতা। এবার সবার জন্য জমজমের পবিত্র পানি সরবরাহ করা হবে প্লাস্টিকের প্যাকেটে। হজের অবশ্য পালনীয় ধাপের একটি হলো আরাফার ময়দানে অবস্থান। আরাফায় হাজীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণেও সার্বক্ষণিক প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষনীয়।
শয়তানকে পাথর ছোঁড়ার আনুষ্ঠানিকতাতেও থাকছে নতুনত্ব। এবার সর্বোচ্চ ৫০ জন হাজী একসঙ্গে পাথর নিক্ষেপ করতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ বিশেষ ধরনের জীবাণুমুক্ত পাথর সরবরাহ করবেন হাজীদের।