Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লক্ষ্মীপুরে মেঘনার ভাঙনে ৩ দশকে বিলীন ১২ হাজার হেক্টর জমি


৩১ জুলাই ২০২০ ১২:০৮

লক্ষ্মীপুর: আবারও নতুন করে লক্ষ্মীপুরে মেঘনার ভাঙনে তছনছ হয়ে নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে বসতভিটা। গত ৩১ বছর ধরে চলমান ভাঙনে জেলার সদর, কমলনগর ও রামগতি উপজেলার ২৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধসহ ১২ হাজার হেক্টর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রবল স্রোতে সদর উপজেলার চর রমনী মোহন, রামগতি উপজেলার বালুরচর, সুজন গ্রাম, বাংলাবাজার, আসলপাড়া, বড়খেরী, টাঙ্কীবাজার, কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি, চর ফলকন, সাহেবের হাট, পাটোয়ারীর হাট এলাকাসহ তিনটি উপজেলায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ভাঙনকবলিত অসহায় মানুষেরা জানান, জীবিকা উপার্জনের শেষ সম্বল ফসলি জমিসহ ভিটেবাড়ি নদীতে হারিয়ে মিলছে না স্থায়ী ঠিকানা। কোনোরকমে খুপড়ি ঘরে গাদাগাদি করে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, নদী ভাঙনে তলিয়ে গেছে ৩০ কিলোমিটার রাস্তাঘাট, মসজিদ, হাটবাজার ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য স্থাপনা। ভাঙনরোধে ৩১ কিলোমিটার বাঁধ রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা একটি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রাণালয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত এ প্রকল্পটি পাস হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও নানা অনিয়মের কারণে কাজের কাজ কিছুই করছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, নতুন করে তিনটি উপজেলার অনেক স্থানে মেঘনার ভাঙন শুরু হলেও শুধু কমলনগর লুদুয়া এলাকায় বালু ভর্তি কয়েকটি টিউব ফেলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা পুরো টাকা লুটপাট করছে।

লক্ষ্মীপুরে দায়িত্বরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ জানান, লক্ষ্মীপুরে মেঘনার ভাঙন বাড়ছে। ভাঙনকবলিত এলাকা রক্ষা করা না গেলেও ভাঙন কম হবে এজন্য পরীক্ষামূলকভাবে শুধু কমলনগরে লুধুয়া এলাকায় নদীর স্রোত মাঝখানে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বালুভর্তি টিউব ফেলার কাজ চলছে। এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, ‘ইতোমধ্যে ভাঙন প্রতিরোধে ৩১ কিলোমিটারের জন্য ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি একনেকে অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।’

কমলনগর তছনছ বসতভিটা মেঘনার ভাঙন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর