Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মালয়েশিয়ায় স্বর্ণ কেনার কথা বলে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ


৮ মার্চ ২০১৮ ১৮:১৬

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মালয়েশিয়ায় স্বর্ণ রেখে দ্বিগুণ মুনাফা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউনিপেটুইউ’র দুজন কর্মকর্তাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার চারজন হলেন- ইকবাল আলী, দেওয়ান মো. মঞ্জুর কবীর, এ এস এম জিয়াউল হক ও মিলন হাসান। বুধবার (৭ মার্চ) শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া এক মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এদের বিরুদ্ধে ৪৪ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার নয়শ ৫১ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন ইউনিপেটুইউ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানির পরিচয় দিয়ে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এমন তথ্যের ভিতিতে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। মালয়েশিয়ায় স্বর্ণ রাখার কথা বলে দ্বিগুণ মুনাফার লোভ দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে সিআইডির তদন্তে উঠে আসে’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আটক ইকবালের অ্যাকাউন্টে ৮৮ লাখ ও প্রেস্টিজ নামের আরেক অ্যাকাউন্টে ২২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। বাকি টাকা কোথায় কীভাবে সরানো হয়েছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অন্যকারও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি ইউনিপেটুইউ’র মালিক বিদেশে পলাতক রয়েছেন। এর আগে এই প্রতারণার বিষয়টি দুদক তদন্ত করছিল। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলেজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন পাঠায় সিআইডির ক্রাইম ইউনিটের কাছে। এরপর সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম দল তদন্ত শুরু করে। তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বলতো- তাদের টাকা দিয়ে সমপরিমান মূল্যের স্বর্ণ কেনা হচ্ছে মালয়েশিয়ায়। টাকা জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে স্বর্ণের পরিমানও দেখাতো। ১০ মাস পর সেই স্বর্ণ বিক্রি করলে গ্রাহকের টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় কোম্পানিটি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার চারজন ঢাকা, ঝিনাইদহ, যশোর এলাকার প্রায় এক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৪৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা সে সব অর্থ ইউনিপেটুইউ’র প্রধান কার্যালয়ে জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’

‘মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ইউনিপটুইউ বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বহুস্তর বিশিষ্ট বিপণন পদ্ধতির মাধ্যমে দেশব্যাপী সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরা সাধারণত জনসাধারণকে বিভিন্নভাবে ধোঁকা দিয়ে টাকা সংগ্রহ করত। গ্রাহকদের টাকা জমা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউনিপেটুইউয়ের নিজস্ব পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ভূয়া ভার্চুয়াল ডলার জমা দেখানো হত। প্রকৃত পক্ষে কোনো ভার্চুয়াল ডলার জমা হতো  না’-বলেন নজরুল ইসলাম।

সারাবাংলা/এসআর/আইএ/এমআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর