Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘তাদের অনুপ্রবেশে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অশান্তিময় হচ্ছে’


৮ মার্চ ২০১৮ ১৬:২৯

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপ্রবেশে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অশান্তিময় হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (০৮ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ফখরুল বলেন, ‘তারা ভেতরে ঢুকে থাকেন; পাশাপাশি বসে থাকেন আমাদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে অস্ত্র দেখিয়ে ধরে নিয়ে যান।’

‘আমরা একটা কথা বুঝতে পারছি না। তারা মুখে সুন্দর সুন্দর কথা বলছে। তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই বলছেন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করলে আমরা কোনো বাধা দেব না।’

‘আমরা শুধু শান্তিপূর্ণ নয়, একেবারেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। সেই কর্মসূচির মধ্যে তারা (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী) অনুপ্রবেশ করে অশান্তিময় করে তুলছে এবং খুব পরিকল্পিতভাবে আমরা যেন ভবিষ্যতে আর কোনো ধরনের কর্মসূচি করতে না পারি সেই জন্য তারা পরিবেশ নষ্ট করছে’— বলেন  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে বেলা পৌনে ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গোয়েন্দা পুলিশের একজন সদস্য বিএনপির মানববন্ধনে ঢুকে ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

গ্রেফতার এড়াতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের সামনে চলে যান রাজ। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের আরো কয়েকজন সদস্য সেখান ঢুকে চ্যাংদোলা করে রাজকে নিয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির সিনিয়র নেতারাও হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। নির্ধারিত সময়ের আগেই কর্মসূচি শেষ করতে হয় তাদেরকে।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার পর নয়পল্টনে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার পর আমরা যতগুলো কর্মসূচি দিয়েছি, প্রত্যেকটি কর্মসূচি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। কিন্তু এটাতেই বোধ হয় সরকারের গাত্রদাহ হচ্ছে। সেই কারণে তারা আজকে উসকানি দিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে বানচার করে দিচ্ছে।’

‘কর্মসূচি থেকে যে পদ্ধতিতে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে— কোনো স্বাধীন দেশে এইভাবে গ্রেফতার করা হয় বলে আমাদের জানা নেই। বিষয়টিকে একমাত্র হিটলারের গেস্টাপো বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করতে পারি। আমাদের চোখের সামনে ঘটনা ঘটেছে। এতটুকু সৌজন্য দেখায়নি যে, সিনিয়র নেতারা সেখানে বসে আছে। আমাদের মিটিং তারা শেষ করতে দেয়নি। মিটিংয়ের মধ্যেই তারা আক্রমণ চালিয়েছে’— বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘অবাক কাণ্ড। কালকে সোহরাওয়ার্দীতে তারা সমাবেশ করল। সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে, হাজার হাজার গাড়ি নিয়ে এসে তারা সমাবেশ করল। আর আমরা সামান্য একটা কর্মসূচি করব, সে কর্মসূচি করতে দিল না। আমরা একটা জনসভার জন্য চিঠি দিয়েছি। ১২তারিখে আমরা চেয়েছি। এখন পর্যন্ত সেই জনসভার অনুমতি বা এ সম্পর্কে তারা কিছু বলেনি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা হতাশার সঙ্গে বলছি। বেদনার সঙ্গে বলছি। এই যে একটা অবস্থা তারা সৃষ্টি করল। এই অবস্থা থেকে গণতন্ত্রে ফিরে আসা অত্যন্ত দুরুহ কাজ। এখন চতুর্দিকে একটা ভিতির সঞ্চার হয়েছে। প্যানিক সারাটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে— যেটা ফ্যাসিজমের প্রধান কাজ।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড

শনিবার ঢাকায় বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি
পুলিশি বাধায় পণ্ড বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর