কিশোরগঞ্জ: মহামারির করোনাভাইরাসের কারণে ঈদুল ফিতরের পর ঈদুল আজহাতেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি ঐতিহ্যবাহী কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে। এর পরিবর্তে বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
শোলাকিয়ার ইতিহাসে এবার ১৯৩তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। একই কারণে গত ঈদুল ফিতরের জামাতও স্থগিত করা হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
শুধু শোলাকিয়ায় নয়, জেলার কোনো ঈদগাহ মাঠ বা খোলা জায়গায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদগুলোতে জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সবচেয়ে বড় জামাত হয়েছে ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ ও পাগলা মসজিদে। সকাল ৮টা ও ৯টায় এ দুটি মসজিদে দুটি করে জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জামাতগুলোতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিপুল সংখ্যক মুসুল্লী সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ গ্রহণ করেন।
শহীদী মসজিদে প্রথম জামাতে শায়খুল হাদিস মাওলানা শামসুল ইসলাম এবং দ্বিতীয় জামাতে শায়খুল হাদিস মাওলানা এমদাদ উল্লাহ ইমামতি করেন। পাগলা মসজিদের জামাতে ইমামতি করেছেন মাওলানা আশরাফ আলী।