বর্জ্য ‘কিছু কম’, অপসারণে বেগ পেতে হয়নি চসিককে
১ আগস্ট ২০২০ ২০:৪২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চার হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী সাড়ে ৩ শ গাড়ি দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কোরাবনির বর্জ্য সন্ধ্যার মধ্যেই প্রায় অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৫ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কোরবানি ‘কিছু কম’ হওয়ায় বর্জ্যের পরিমাণও ২০ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কোরবানি শুরুর পর শনিবার (১ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বর্জ্য অপসারণে নেমে পড়েন চার হাজার শ্রমিক ও পরিচ্ছন্ন কর্মী। সরাসরি এ কার্যক্রম তদারক করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন সারাবাংলাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবার আমরা বর্জ্য অপসারণে বাড়তি সতর্ক ছিলাম। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আমরা চট্টগ্রাম নগরীর মূল যে সড়ক আছে, সেখানে জমে থাকা সব বর্জ্য নিয়ে গেছি। এর মধ্যে অলিগলিতেও কাজ শুরু হয়। বিকেলে কিছু গরু কোরবানি হয়েছে। এসব বর্জ্য আমরা সর্বোচ্চ রাত ৮টার মধ্যে অপসারণ করেছি।’
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বর্জ্য কম হওয়ার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে আমরা ৫ হাজার মেট্রিকটন বর্জ্য অপসারণের টার্গেট নিয়েছিলাম। কিন্তু এত বর্জ্য হয়নি। ২০ শতাংশের মতো কম হয়েছে বলে সুপারভাইজাররা জানিয়েছেন। আসলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কোরবানি কিছুটা কম হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে এবার আমাদের তেমন বেগ পেতে হয়নি।’
শনিবার বিকেলে নগরীর টাইগার পাস, কদমতলী, আমবাগান, চৌমুহনী এলাকার মূল সড়কগুলো ঘুরে বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়নি। সড়কগুলো অনেকটাই পরিচ্ছন্ন দেখা গেছে। চৌমুহনী, কদমতলিতে গলির ভেতরে রাস্তায় গরুর মাথার বিচ্ছিন্ন অংশবিশেষ, জিহ্বার অংশ, রক্ত, লেজের অংশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। রক্তমাখা চাটাইও পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে একইসঙ্গে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সেসব র্বজ্য অপসারণে কাজ করতেও দেখা গেছে।’
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বিকেলে নগরীর আলমাস সিনেমার সামনে, আগ্রাবাদ, পোর্ট মার্কেট, নিমতলা বিশ্বরোড, হালিশহর, পতেঙ্গা এলাকায় গিয়ে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম দেখেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবার যেহেতু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে, সেজন্য বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে আলাদা সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। কোথাও যাতে বর্জ্য বা পানি জমে না থাকে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা শতভাগ আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে।’
নগরীর কোথাও কোরবানির জবাই করা পশুর বর্জ্য রাত ৮টার পরে দেখা গেলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে (০৩১-৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৬৪৯ অথবা ০১৬৭৫২১৮৪৮৫) জানানোর অনুরোধ করেছেন চসিক মেয়র।
মেয়রের সঙ্গে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, গিয়াস উদ্দিন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ, প্রধান পরিছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই