মানুষ যাতে উন্নত জীবন পায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য: শেখ হাসিনা
২ আগস্ট ২০২০ ১৫:৫৮
ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারি ও বন্যায় অসহায় মানুষদের মুখে সরকার খাবার তুলে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘মানুষ যাতে উন্নত জীবন পায়—সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতীর পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
রোববার (২ আগস্ট) আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের শোকের মাসে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন ও শোকের মাসের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারি এবং বন্যার এই সময়ে সরকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কর্মহীন, গরিব, এতিম ও অসহায়দের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে আমাদের সরকার। করোনার এ সময়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, ভালো কাজ করছে।‘ এ সময় তিনি বন্যাকবলিত সানুষের পাশে দাঁড়াতে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সকালে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ভবন চত্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ স্বেচ্ছায় প্লাজমা-রক্তদান কর্মসূচি, এতিম ও অনাথদের মাঝে ঈদ উপহার, মৌসুমী ফল ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি পালন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এরপর এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিশেষ অতিথি হিসেবে তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। এছাড়া কৃষক লীগ নেতা বিশ্বনাথ সরকার বিটু ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে ওবায়দুল কাদের যখন বক্তব্য রাখেন, তখন তার কথা স্পষ্ট শোনা গেলেও আওয়ামী লীগ সভাপতির বক্তব্য শুরু হওয়ার পরে প্রযুক্তি বিভ্রাটে ভিডিও কনফারেন্সে তার বক্তব্য স্পষ্ট শুনতে পায় না উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী ও নেতাকর্মীরা। এসময় চোখে মুখে অস্বস্তি দেখা দেয় আয়োজক ও নেতাদের।