২৪ ঘণ্টায় ৩০ মৃত্যু, শনাক্ত ১৩৫৬ জন
৩ আগস্ট ২০২০ ১৪:৫০
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৩০ জন। একই সময়ে ১ হাজার ৩৫৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ২ লাখ ৪২ হাজার ১০২ জন। এ ছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১৮৪ জনের মৃত্যু হলো।
সোমবার (৩ আগস্ট) করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৪ হাজার ২৪৯টি নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এ সব পরীক্ষায় নতুন করে ১ হাজার ৩৫৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সর্বশেষ মারা যাওয়া ৩০ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী।
এদিকে আগে থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকা আরও ১ হাজার ৬৬ জন সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়া ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯০৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
রোববারের তথ্য: গত রোববার (২ আগস্ট) ২২ জনের মৃত্যু হয়। ওইদিন সারাদেশে ৮২টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩ হাজার ২১৩টি। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আগের দিনের কিছুসহ ৩ হাজার ৬৮৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় যে সব নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এর মধ্যে ৮৮৬ জনের শরীরে কোভিড-১৯-এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
রোববার নমুনা সংগ্রহ বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। সর্বমোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ। রোববার ৫৮৬ জন সুস্থ হন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৯ জন। আক্রান্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ ৪৩ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ৯৭ লাখের মতো রোগী।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার ২৫ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। দফায় দফায় সেই ছুটি ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি-বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে দেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশে জনসাধারণের চলাচলে নিয়ন্ত্রণসীমা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।