মেজর সিনহার মাকে টেলিফোন, বিচারের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
৪ আগস্ট ২০২০ ১৯:৩৯
ঢাকা: টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের মা নাসিমা আক্তারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ঘটনার বিচারের আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে কথা বলেন নাসিমা আক্তারের সঙ্গে। গণমাধ্যমে পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের সই করা এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বিকেলে টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহার মাকে টেলিফোন করে সান্ত্বনা দিয়েছেন। সিনহার পরিবারের কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হলে সেটির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন-
পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজরের মৃত্যু: তদন্ত কমিটি
পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহার মৃত্যু: আরও ‘শক্তিশালী’ তদন্ত কমিটি
বার্তায় আরও বলা হয়, ফোন করে খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেজর সিনহার মা নাসিমা আক্তার।
গতকাল শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে মারা যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান।
এ ঘটনা তদন্ত করতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলিকে আহ্বায়ক করে গত ১ আগস্ট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কমিটিতে কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মনোনীত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হয়।
পরে ওই একই দিনে এই তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। যুগ্মসচিব পদমর্যাদার চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের ওই কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি (জিওসি, ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, কক্সবাজার এরিয়া মনোনীত) এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপপুলিশ পরিদর্শকের উপযুক্ত প্রতিনিধিকে রাখা হয় সদস্য হিসেবে।
সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটির কর্মপরিধি তুলে ধরে বলা হয়, কমিটি ওই ঘটনার বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার কারণ ও উৎস বের করবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়সহ সার্বিক বিষয় বিশ্লেষণ করে সুস্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন সাত কর্মদিবসের মধ্যে দাখিল করবে।