Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বিনিয়োগ পরিবেশ আকর্ষণীয় করতে হবে’


৬ আগস্ট ২০২০ ১৫:৫০

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের চলমান সংকটের মধ্যেই দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের বিনিয়োগ পরিবেশকে আকর্ষণীয় করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকালে ভিডিও কনফারেন্সে বাংলাদেশে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) গভর্নিং বোর্ডের সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যুক্ত হয়ে এ নির্দেশনা দেন।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংকটে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে সবকিছুতেই সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যার মধ্য দিয়ে কীভাবে আমাদের দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাব, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ জন্য আমাদের বিনিয়োগ পরিবেশকে আকর্ষণীয় করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের একটা ধাক্কা আমাদের এসেছে, এটা ঠিক। কিন্তু একটা সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের আরও বেশি ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে হবে। এটার সুযোগ আছে। অনেক দেশে এখন ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ। আমাদের জনসংখ্যা আছে, জমি তৈরি আছে, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে। এই সুযোগটায় আমরা কিন্তু ইনভেস্টমেন্ট আরও বেশি আকর্ষণীয় করতে পারি।’

‘২০০৮ আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, সবকিছু সহজ করার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পেরেছি বলেই আজ আমরা এরকম একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও এখানে বসে বিডার গভর্নিং বোর্ডের সভা করতে পারছি’— বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের এমডিজি খুব দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমরা এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা কতগুলো বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। অবকাঠামো উন্নয়ন এর মধ্যে অন্যতম। কারণ অবকাঠামো উন্নয়ন না হলে কখনও বিনিয়োগ আসতে পারে না। সেজন্য নৌপথ, রেলপথ ও আকাশপথে যোগাযোগ উন্নত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের সমস্যা ছিল। কিন্তু আজ বিদ্যুৎ আমাদের উদ্বৃত্ত আছে। গ্যাসের সমস্যা; নিজেদের গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া আমরা গ্যাস আমদানিও করছি। বিনিয়োগের জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি তার সুফল মানুষ পেতে শুরু করেছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা কর অবকাশের সুবিধা দিয়েছি, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন যাতে একটা জায়গায় না হয়ে সমগ্র বাংলাদেশে হয়, সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। সেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সহজে করতে পারবে। শ্রমিকও খুব সহজে পাওয়া যাবে। আমরা প্রশিক্ষণও দিচ্ছি। শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করতে কর রেয়াত দেওয়া হচ্ছে। মুলধনি সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ আমরা দিচ্ছি। আমাদের পদক্ষেপের ফলে ইতোমধ্যে বিনিয়োগ বেড়েছে।’

‘এই যে উন্নতিটা- করোনাভাইরাস না এলে আমরা আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম’ বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

বিআইডিএ’র সভায় গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফজলে কবির, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র প্রেসিডেন্ট বেগম সেলিমা আহমাদ।

অর্থনীতি আকর্ষণীয় টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী বিনোয়াগ পরিবেশ শেখ হাসিনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর