ফেরি স্বল্পতায় শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে ভোগান্তি
৭ আগস্ট ২০২০ ১২:৫৮
মুন্সীগঞ্জ: পদ্মার প্রমত্ততায় দুইটি ঘাট বিলীন হয়ে যাওয়ায় শিমুলিয়ার বাকি দুইটি ফেরি ঘাটে ফেরি চলাচল চলছে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে। দুই ঘাটে ফেরি চলছে বড় তিনটি, ও ছোট পাঁচটি মিলিয়ে মোট আটটি। তবে ঈদ পরবর্তী এই সময়ে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় এত কম ফেরিতে সেগুলোর পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। তাতে শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে শতাধিক ছোটবড় যানবাহন।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকেই শিমুলিয়ার ১ ও ২ নম্বর ঘাট দিয়ে আটটি ফেরি চলতে শুরু করেছে। এর আগে গত ২৮ জুলাই শিমুলিয়ার ৩ নম্বর রো রো ফেরি ঘাট ও ৫ আগস্ট ৪ নম্বর ফেরি ঘাটটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
শুক্রবার সকালে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চারটি ফেরি ঘাটের মধ্যে দুইটি ঘাট দিয়ে আটটি ফেরি চলছে করছে। এত অল্পসংখ্যক ফেরি ঘাটে জড়ো হওয়া যানবাহন পারাপারের জন্য যথেষ্ট নয়। ফলে ঘাটে শতাধিক যানবাহন আটকে রয়েছে পারাপারের অপেক্ষায়। তীব্র রোদ আর তাপমাত্রায় অপেক্ষমাণ যানবাহনে অবস্থানরত যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিসি’র ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ বলেন, তীব্র স্রোতের কারণে গত কয়েক দিন ধরেই ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ৩ নম্বর ঘাটের পর ৪ নম্বর ঘাটটিও নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় সমস্যা চরমে ঠেকেছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) মো. হিলাল উদ্দিন জানান, চারটি ঘাটের মধ্যে দুইটি ঘাট তো নেই-ই। বাকি দুইটি ঘাটও ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে। এ অবস্থা কতদিন চলবে, বলা মুশকিল।
এদিকে, গাড়ির চাপ কমাতে শিমুলিয়ায় আরেকটি ফেরিঘাট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জানান, এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’কে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।